রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, সন্ধ্যা ৬:০৭
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,সন্ধ্যা ৬:০৭

পিস্তল হাতে মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ভাইরাল!

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

২৭ এপ্রিল, ২০২৩,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

১০:২০ pm

বিদেশি একটি পিস্তলসহ মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ফেসবুকে প্রচার হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী এলাকায়। জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদারকে দেখা গেছে বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে বন্দুকের দোকানে শো-অফ করতে।

তবে এ বিষয়ে পরশ শিকদার জানিয়েছেন, তিনি দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার। ‘বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা পিকুলের রাজনীতি না করায় তার এ ছবিটি ফেসবুকে ছেড়ে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে’।

যে ছবিটি ফেসবুকে ভাসছে সেটা সঠিক উল্লেখ করে পরশ সিকদার বলেন, পাঁচ বছর আগে শাহজাহান মৃধার পিকুলের ভাগনে পৌর যুবলীগের নেতা মিনহাজুল আবেদিন চয়নের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবিটি তোলা হয়েছিলো ৫ বছর আগের।

তিনি জানান, চয়নের একজন পরিচিত ব্যক্তির বাড়ির খামারে পাখির উপদ্রব ছিল। পাখি তাড়াতে চয়ন একটি দামি এয়ারগান কেনেন। এয়ারগান কিনতে যাওয়ার সময় চয়নই তার গাড়িতে করে আমাকে ওই বন্দুকের শোরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেই এয়ারগান ক্রেতার বাড়ি বেনাপোল। ওই সময় বন্দুকের শোরুমে আমি বসা ছিলাম। তখন ডিসপ্লে করে রাখা পিস্তলটি দেখিয়ে চয়ন আমাকে বলে, ‘মামা, এটা একটু উঁচু করে ধরো তো। একটা ছবি তুলি।’ এরপর সে মোবাইলে ছবিগুলো তোলে। এ সময় আরো অনেক ছবি সে তুলেছিল। তবে এতদিন এসব ছবি কারো কাছে তা আমার জানা ছিলো না। গতকাল রাতেই প্রথমে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তোজা তমাল আমাকে ফোন করে ছবিটি দেখেছে বলে প্রথম জানায়।

মিনহাজুল আবেদিন চয়ন ছবিটি তোলার বিষয়ে জানান, পরশ শিকদারের মনগড়া কথাবার্তা সঠিক নয়। এ অস্ত্রের ছবিটির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা পিকুল বলেন, ফেসবুকে পরশের অস্ত্র হাতের ছবির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। জানতে পেরেছি পরশ শিকদার সংগঠনের বিভিন্ন ছেলেপেলের কাছ থেকে চাঁদা তোলে এবং চাকরি বাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা পয়সার ধান্দা করে বেড়ায়। এসব কর্মকাণ্ড করায় আমার কাছ তাকে সরিয়ে দিয়েছি। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এর আগে একবার তাকে শাসনও করেছিলাম।

ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘পরশ সিকদার অস্ত্রবাজি করে এটি আমি বিশ্বাস করি না। সে হয়তো কোন দোকান অথবা কারো কাছ অস্ত্র হাতে নিয়ে এভাবে ছবি তুলতে পারেন। তবে ছবিটি যিনি ফেসবুকে ছেড়েছেন তিনিও হয়তো সুস্থ মস্তিষ্কে কাজটি করেননি। অনেকেই আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর এ ব্যাপারে সঠিক ঘটনা জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

Related Posts

পিস্তল হাতে মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ভাইরাল!

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

২৭ এপ্রিল, ২০২৩,

১০:২০ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

বিদেশি একটি পিস্তলসহ মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ফেসবুকে প্রচার হওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী এলাকায়। জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদারকে দেখা গেছে বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে বন্দুকের দোকানে শো-অফ করতে।

তবে এ বিষয়ে পরশ শিকদার জানিয়েছেন, তিনি দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার। ‘বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা পিকুলের রাজনীতি না করায় তার এ ছবিটি ফেসবুকে ছেড়ে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে’।

যে ছবিটি ফেসবুকে ভাসছে সেটা সঠিক উল্লেখ করে পরশ সিকদার বলেন, পাঁচ বছর আগে শাহজাহান মৃধার পিকুলের ভাগনে পৌর যুবলীগের নেতা মিনহাজুল আবেদিন চয়নের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবিটি তোলা হয়েছিলো ৫ বছর আগের।

তিনি জানান, চয়নের একজন পরিচিত ব্যক্তির বাড়ির খামারে পাখির উপদ্রব ছিল। পাখি তাড়াতে চয়ন একটি দামি এয়ারগান কেনেন। এয়ারগান কিনতে যাওয়ার সময় চয়নই তার গাড়িতে করে আমাকে ওই বন্দুকের শোরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেই এয়ারগান ক্রেতার বাড়ি বেনাপোল। ওই সময় বন্দুকের শোরুমে আমি বসা ছিলাম। তখন ডিসপ্লে করে রাখা পিস্তলটি দেখিয়ে চয়ন আমাকে বলে, ‘মামা, এটা একটু উঁচু করে ধরো তো। একটা ছবি তুলি।’ এরপর সে মোবাইলে ছবিগুলো তোলে। এ সময় আরো অনেক ছবি সে তুলেছিল। তবে এতদিন এসব ছবি কারো কাছে তা আমার জানা ছিলো না। গতকাল রাতেই প্রথমে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তোজা তমাল আমাকে ফোন করে ছবিটি দেখেছে বলে প্রথম জানায়।

মিনহাজুল আবেদিন চয়ন ছবিটি তোলার বিষয়ে জানান, পরশ শিকদারের মনগড়া কথাবার্তা সঠিক নয়। এ অস্ত্রের ছবিটির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা পিকুল বলেন, ফেসবুকে পরশের অস্ত্র হাতের ছবির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। জানতে পেরেছি পরশ শিকদার সংগঠনের বিভিন্ন ছেলেপেলের কাছ থেকে চাঁদা তোলে এবং চাকরি বাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা পয়সার ধান্দা করে বেড়ায়। এসব কর্মকাণ্ড করায় আমার কাছ তাকে সরিয়ে দিয়েছি। এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য এর আগে একবার তাকে শাসনও করেছিলাম।

ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সোবহান বলেন, ‘পরশ সিকদার অস্ত্রবাজি করে এটি আমি বিশ্বাস করি না। সে হয়তো কোন দোকান অথবা কারো কাছ অস্ত্র হাতে নিয়ে এভাবে ছবি তুলতে পারেন। তবে ছবিটি যিনি ফেসবুকে ছেড়েছেন তিনিও হয়তো সুস্থ মস্তিষ্কে কাজটি করেননি। অনেকেই আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর এ ব্যাপারে সঠিক ঘটনা জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

Related Posts