যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বার চালু হয়েছে। এখন থেকে সপ্তাহে চার দিন বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত দুজন করে মেডিকেল অফিসার নিয়মিত ৩ ঘন্টা হাসপাতালের চেম্বারে রোগী দেখবেন। তারমধ্যে দুদিন দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মঞ্জুরুল মুর্শীদ ফিতা কেটে মনিরামপুর হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, মনিরামপুর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী দিনে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ জেসমিন সুমাইয়া ও মেডিকেল অফিসার রঘুরাম চন্দ্র রোগী দেখেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বার নিয়ে
উপজেলার দত্তকোনা এলাকার স্কুল শিক্ষক আনিছুর রহমান বলেন, আমার ২ বছরের মেয়ে আরশী রহমানকে আগে ৩০০ টাকা ফিস দিয়ে বাইরে মেডিকেল অফিসার দেখাতাম। মেয়েটি
ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছে। আজ হাসপাতালের চেম্বারে ২০০ টাকায় তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য আনন্দের।
যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বলেন, সরকারের এ উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। এখন এ এলাকার রোগীদের বাড়তি খরচ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে শহরে যেতে হবে না। এতে রোগীর সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় হবে।
সিভিল সার্জন বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলার মনিরামপুর ও কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক চেম্বার চালু হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে সার্জিকাল চিকিৎসক নেই। রোগীর সুবিধায়
আমরা সেটা চালু করার চেষ্টা করছি।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ২০০ টাকা ভিজিটে নিয়মিত ২ জন করে চিকিৎসক বৈকালিক চেম্বারে রোগী দেখবেন। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে সপ্তাহে চারদিন এ চেম্বার চালাতে হবে। আমরা সপ্তাহে ৬ দিন এ সেবা চালু রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি।