রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, সন্ধ্যা ৬:২৭
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,সন্ধ্যা ৬:২৭

ছিনিয়ে নেওয়া মাদককারবারি আটক, দুই পুলিশ আহত

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট)

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৪:৪৭ pm

বাগেরহাটের শরণখোলায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ২০ ঘন্টার মাথায় আটক হয়েছেন মাদককারবারি ইলিয়াস শিকদার (৪০)।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির বাগানে গাছের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় তৈরী মাদকের আখড়ার টংঘরটি।

এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদকের আখড়ায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছিল ইলিযাসকে। ওই সময় তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামল চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। মাদককারবারিদের হামলায় আহত হন পুলিশের দুই সদস্য। আহত দুই পুলিশ সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন শরণখোলা থানার এএসআই শফিক ও কনস্টেবল মিলন হোসেন। এঘটনায় ইলিয়াসকে প্রধান আসামি করে রাতে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আসামিরা হলেন মৃত রশিদ শিকদারের ছেলে মাদককারবারি ইলিয়াস শিকদার, স্ত্রী রূপালি বেগম, মেয়ে আঁখি আক্তার, ভাই ফারুক শিকদার, নাছির শিকদার এবং একই গ্রামের দুলাল শিকাদরের ছেলে মিজান শিকদার ও সালাম শরিফের ছেলে সাইফুল শরিফ।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত রশিদ শিকদারের ছেলে ইলিয়াস শিকদার তার বাড়ির বাগানে গাছের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় টং ঘর তৈরী করে মাদকের কারবার করে আসছিলেন। গোপন তথ্যে ভিত্তিতে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালিয়ে আখড়া থেকে চিহ্নিত মাদককারবারি ইলিয়াসকে আটক করা হয়। তখন তার সহযোগিরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমন করে ছিনিয়ে নেয় তাকে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। ওইদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মাদকের আখড়ার টংঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি ইকরাম হোসেন জানান, পুলিশের ওপর হামলা করে ইলিয়াসকে ছিনিয়ে নিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আবারো অভিযান চালানো হয় সেখানে। একপর্যায়ে আত্মগোপনে থাকা ইলিয়াসকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত। তার বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার আখড়ায় দিনরাত মাদকের আসর বসে। কিন্তু এই মাদক থেকে কোনোভাবেই ফেরানো যায়নি তাকে। তার কারনে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।

 

Related Posts

ছিনিয়ে নেওয়া মাদককারবারি আটক, দুই পুলিশ আহত

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা (বাগেরহাট)

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,

৪:৪৭ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

বাগেরহাটের শরণখোলায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ২০ ঘন্টার মাথায় আটক হয়েছেন মাদককারবারি ইলিয়াস শিকদার (৪০)।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রাম থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়ির বাগানে গাছের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় তৈরী মাদকের আখড়ার টংঘরটি।

এর আগে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদকের আখড়ায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছিল ইলিযাসকে। ওই সময় তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামল চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। মাদককারবারিদের হামলায় আহত হন পুলিশের দুই সদস্য। আহত দুই পুলিশ সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন শরণখোলা থানার এএসআই শফিক ও কনস্টেবল মিলন হোসেন। এঘটনায় ইলিয়াসকে প্রধান আসামি করে রাতে সাত জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের নামে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

আসামিরা হলেন মৃত রশিদ শিকদারের ছেলে মাদককারবারি ইলিয়াস শিকদার, স্ত্রী রূপালি বেগম, মেয়ে আঁখি আক্তার, ভাই ফারুক শিকদার, নাছির শিকদার এবং একই গ্রামের দুলাল শিকাদরের ছেলে মিজান শিকদার ও সালাম শরিফের ছেলে সাইফুল শরিফ।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম খোন্তাকাটা গ্রামের মৃত রশিদ শিকদারের ছেলে ইলিয়াস শিকদার তার বাড়ির বাগানে গাছের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় টং ঘর তৈরী করে মাদকের কারবার করে আসছিলেন। গোপন তথ্যে ভিত্তিতে জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালিয়ে আখড়া থেকে চিহ্নিত মাদককারবারি ইলিয়াসকে আটক করা হয়। তখন তার সহযোগিরা লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমন করে ছিনিয়ে নেয় তাকে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। ওইদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মাদকের আখড়ার টংঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি ইকরাম হোসেন জানান, পুলিশের ওপর হামলা করে ইলিয়াসকে ছিনিয়ে নিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আবারো অভিযান চালানো হয় সেখানে। একপর্যায়ে আত্মগোপনে থাকা ইলিয়াসকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িত। তার বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা পরিচালনা করেন। তার আখড়ায় দিনরাত মাদকের আসর বসে। কিন্তু এই মাদক থেকে কোনোভাবেই ফেরানো যায়নি তাকে। তার কারনে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ।

 

Related Posts