রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, সন্ধ্যা ৭:৩৯
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,সন্ধ্যা ৭:৩৯

কিশোরী বধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলা, স্বামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর)

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৫:৫৩ pm

যশোরের মনিরামপুরে নাওয়াদ জামান বরিশা (১৭) নামে এক কিশোরী বধূ গলায় ওড়না জড়িয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গৃহবধূ বরিশার মা নওশোভা তানভিন মিঠু বাদি হয়ে মনিরামপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে রোববার রাতে জামাই আরশিল কবিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। পুলিশ আরশিল কবিরকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করেছে।মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরশিল কবির উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের
আজমত ফকিরের ছেলে। আত্মহত্যার শিকার বরিশা যশোর সদর উপজেলার সাতিয়ানতলা এলাকার কলেজ শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সবুজের মেয়ে।

ভালবেসে গেল বছরের ২২ মে তিনি আরশিল কবিরের হাত ধরে বাবার বাড়ি ছাড়েন। তখন বরিশা যশোরের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

মামলায় বাদী নওশোভা তানভিন মিঠু উল্লেখ করেন, খালার বাড়িতে যাওয়া আসার সূত্রধরে আরশিল কবিরের সাথে তাঁর মেয়ের পরিচয়। এরপর গেল বছরের ২২ মে আরশিল কবির বরিশাকে ফুসলিয়ে মনিরামপুরে নিয়ে আসেন। ঘটনা টের পেয়ে তখন মনিরামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর আবার ওই মাসের ১৫ তারিখ আরশিল কবির কলেজ থেকে বরিশাকে নিয়ে আসেন।

বাদী উল্লেখ করেন, মেয়ের বিষয়টি আমরা মেনে না নেওয়ায় আরশিল বিভিন্ন সময় তাঁকে নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিতেন। যা বিভিন্ন সময় বরিশা তাঁর ফুফু সুলতানা বন্যাকে মোবাইলে জানাতেন।
তবে আরশিল কবিরের বাবা আজমত ফকির দাবি করেন, ভাত খাওয়া নিয়ে শনিবার রাত ১১ টার দিকে স্বামী আরশীল কবিরের সাথে ঝগড়া হয় বরিশার। এরপর অভিমানে গলায় ওড়না জড়িয়ে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বরিশা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেহালপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান বলেন, আরশিল কবিরের সাথে চলে আসায় কলেজ শিক্ষক বাবা আর মেয়ের খবর রাখেননি। মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে তাঁরা রোববার থানায় আসেন। পরে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে থেকে শিক্ষক বাবা মেয়ের লাশ গ্রহণ করেন।

এসআই আতিকুজ্জামান আরো বলেন, বরিশার স্বজনদের অভিযোগে তাঁকে নির্যাতন করে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছেন স্বামী পক্ষ। এ অভিযোগে তাঁরা আরশিল কবিরকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

Related Posts

কিশোরী বধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলা, স্বামী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর)

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩,

৫:৫৩ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

যশোরের মনিরামপুরে নাওয়াদ জামান বরিশা (১৭) নামে এক কিশোরী বধূ গলায় ওড়না জড়িয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গৃহবধূ বরিশার মা নওশোভা তানভিন মিঠু বাদি হয়ে মনিরামপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে রোববার রাতে জামাই আরশিল কবিরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। পুলিশ আরশিল কবিরকে গ্রেফতার করে আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করেছে।মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরশিল কবির উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের
আজমত ফকিরের ছেলে। আত্মহত্যার শিকার বরিশা যশোর সদর উপজেলার সাতিয়ানতলা এলাকার কলেজ শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সবুজের মেয়ে।

ভালবেসে গেল বছরের ২২ মে তিনি আরশিল কবিরের হাত ধরে বাবার বাড়ি ছাড়েন। তখন বরিশা যশোরের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

মামলায় বাদী নওশোভা তানভিন মিঠু উল্লেখ করেন, খালার বাড়িতে যাওয়া আসার সূত্রধরে আরশিল কবিরের সাথে তাঁর মেয়ের পরিচয়। এরপর গেল বছরের ২২ মে আরশিল কবির বরিশাকে ফুসলিয়ে মনিরামপুরে নিয়ে আসেন। ঘটনা টের পেয়ে তখন মনিরামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর আবার ওই মাসের ১৫ তারিখ আরশিল কবির কলেজ থেকে বরিশাকে নিয়ে আসেন।

বাদী উল্লেখ করেন, মেয়ের বিষয়টি আমরা মেনে না নেওয়ায় আরশিল বিভিন্ন সময় তাঁকে নির্যাতন করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিতেন। যা বিভিন্ন সময় বরিশা তাঁর ফুফু সুলতানা বন্যাকে মোবাইলে জানাতেন।
তবে আরশিল কবিরের বাবা আজমত ফকির দাবি করেন, ভাত খাওয়া নিয়ে শনিবার রাত ১১ টার দিকে স্বামী আরশীল কবিরের সাথে ঝগড়া হয় বরিশার। এরপর অভিমানে গলায় ওড়না জড়িয়ে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বরিশা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেহালপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান বলেন, আরশিল কবিরের সাথে চলে আসায় কলেজ শিক্ষক বাবা আর মেয়ের খবর রাখেননি। মেয়ের আত্মহত্যার খবর শুনে তাঁরা রোববার থানায় আসেন। পরে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে থেকে শিক্ষক বাবা মেয়ের লাশ গ্রহণ করেন।

এসআই আতিকুজ্জামান আরো বলেন, বরিশার স্বজনদের অভিযোগে তাঁকে নির্যাতন করে আত্মহত্যায় বাধ্য করেছেন স্বামী পক্ষ। এ অভিযোগে তাঁরা আরশিল কবিরকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দিয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

Related Posts