যশোরের মনিরামপুরে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে পারভেজ হোসেন (২২) নামে এক প্রেমিককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের পর লজ্জায় ওই যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
পারভেজ হোসেন উপজেলার বাগডোব গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সে নানা বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তো।
এদিকে যুবককে মারপিট ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মনিরামপুর থানায় এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ওই যুবকের নানা সিদ্দিক ব্যাপারি।
এ ঘটনায় মেয়ের বাবা পল্লি চিকিৎক ইমরান হোসেন (৩৯) ও নানা সিরাজুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন, রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মেয়ের দাদা আব্দুল করিম ও চাচা কামরুল ইসলাম।
মামলার বাদি সিদ্দিক ব্যাপারিসহ স্থানীয়রা জানান, একই শ্রেণিতে পড়ুয়া বাড়ির পাশের এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পারভেজের। সেই সম্পর্কের জেরে এক সপ্তাহ আগে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় পারভেজ। এর দুদিন পর গত সোমবার ঝিকরগাছা থেকে দুজনকে ধরে আনেন মেয়ের স্বজনরা। এরপর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাড়িতে আমগাছে বেধে পারভেজকে মারপিট করেন আসামিরা। বিষয়টি টের পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদি সিদ্দিক ব্যাপারি বলেন, ‘মেয়ের বাবা নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন। এতে ভয়ে ও অপমানে গত শুক্রবার দুপুরে বিষপান করে পারভেজ। আজ (রোববার) সকালে খুলনায় চিকিৎসারত অবস্থায় পারভেজ মারা গেছে’।
খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সমেন বিশ্বাস বলেন, শুনেছি আজ সকালে ওই ছেলেটি হাসপাতালে মারা গেছে। খুলনায় মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে।
বাগডোব ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন মোড়ল বলেন, আজ (রোববার) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পারভেজের মরদেহ বাড়ি আনা হয়েছে।
মনিরামপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, মারপিটের পর বিষপানে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।