বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, সকাল ১০:৪৩
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩,সকাল ১০:৪৩

ফিকে হয়ে আসছে আবু মুসার স্বপ্ন

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

২৪ ডিসেম্বর, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৮:১৯ pm

রাজধানীর দোহারে নিকরা মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র আবু মুসা। দরিদ্র দিনমজুর বাবার এই মেধাবী সন্তান পড়ালেখায় বেশ ভালোই করছিল। তাই অভিভাবকেরা এক বুক আশা নিয়ে সন্তানকে হাফেজ বানাতে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু একটি অসর্তকতার কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর সেই স্বপ্ন যেনো ভঙ্গ হতে চলেছে এই সম্ভাবনাময় হাফেজ শিক্ষার্থীর।

আবু মুসার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া গ্রামে। দিনমুজর কবির হোসেনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ আবু মুসা। বড় ভাই ও বাবার যৌথ উপার্জনে চলছিলো তার হিফজ শিক্ষা। তবে গত দুই মাস যাবত অসুস্থ আবু মুসার চিকিৎসা চালাতে বাবা কবির হোসেন এখন একপ্রকার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তার পক্ষে আর সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর মাদ্রাসাটির তিনতলার বেলকনি থেকে অসতর্কতাবশত পড়ে গিয়ে আবু মুসার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। এরপর প্রথমে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবু মুসাকে সুস্থ করে তুলতে হলে তার চিকিৎসায় খরচ হবে ‘অনেক টাকা’। কিন্তু এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের ব্যয়ভার তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। ফলে মেধাবী এই হাফেজ শিক্ষার্থীর জীবনে বর্তমানে অন্ধকার নেমে এসেছে।

আবু মুসার বাবা কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটিই স্বপ্ন আবু মুসা একজন হাফেজ ও আলেম হবে। ছেলেরও এই একই স্বপ্ন। পড়ালেখায়ও বেশ ভালো সে। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে বেঁচে থাকাই কষ্ট তার। মাত্র ১০ শতক জমি রয়েছে হোসেনের। হয়ত শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করতে হবে ছেলের চিকিৎসার জন্য। কেই আমার ছেলেকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৫৩২৬২৬৮৭ (বিকাশ ও রকেট-পারসোনাল) নম্বরে সহযোগিতা করবেন।’

বিভাগদী শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কবির হোসেন খুব সৎ ও নিরীহ একজন মানুষ। এরকম দুঃসহ একটি ঘটনা তার জীবন ওলট-পালট করে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে তাকে কিছু সহায়তা করছি কিন্তু তার ছেলের চিকিৎসায় অনেক টাকার প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আবু মুসার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে পরিবারের অক্ষমতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অত্যন্ত ভালো মানুষ কবির হোসেনের বড় আশা ছেলেকে হাফেজ বানাবেন। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে তার সব স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কিন্তু মুসাকে সুস্থ করে তুলতে হলে আরো টাকার প্রয়োজন। তার দরিদ্র পরিবারের সামর্থ্য নেই এই টাকার জোগাড় করার। আমরা সমাজের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি এই হাফেজ শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/charidik/public_html/wp-content/themes/jnews/class/Module/Block/Block_9_View.php on line 13

Related Posts

ফিকে হয়ে আসছে আবু মুসার স্বপ্ন

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

২৪ ডিসেম্বর, ২০২২,

৮:১৯ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

রাজধানীর দোহারে নিকরা মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র আবু মুসা। দরিদ্র দিনমজুর বাবার এই মেধাবী সন্তান পড়ালেখায় বেশ ভালোই করছিল। তাই অভিভাবকেরা এক বুক আশা নিয়ে সন্তানকে হাফেজ বানাতে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু একটি অসর্তকতার কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর সেই স্বপ্ন যেনো ভঙ্গ হতে চলেছে এই সম্ভাবনাময় হাফেজ শিক্ষার্থীর।

আবু মুসার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া গ্রামে। দিনমুজর কবির হোসেনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ আবু মুসা। বড় ভাই ও বাবার যৌথ উপার্জনে চলছিলো তার হিফজ শিক্ষা। তবে গত দুই মাস যাবত অসুস্থ আবু মুসার চিকিৎসা চালাতে বাবা কবির হোসেন এখন একপ্রকার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তার পক্ষে আর সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর মাদ্রাসাটির তিনতলার বেলকনি থেকে অসতর্কতাবশত পড়ে গিয়ে আবু মুসার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। এরপর প্রথমে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবু মুসাকে সুস্থ করে তুলতে হলে তার চিকিৎসায় খরচ হবে ‘অনেক টাকা’। কিন্তু এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের ব্যয়ভার তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। ফলে মেধাবী এই হাফেজ শিক্ষার্থীর জীবনে বর্তমানে অন্ধকার নেমে এসেছে।

আবু মুসার বাবা কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটিই স্বপ্ন আবু মুসা একজন হাফেজ ও আলেম হবে। ছেলেরও এই একই স্বপ্ন। পড়ালেখায়ও বেশ ভালো সে। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে বেঁচে থাকাই কষ্ট তার। মাত্র ১০ শতক জমি রয়েছে হোসেনের। হয়ত শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করতে হবে ছেলের চিকিৎসার জন্য। কেই আমার ছেলেকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৮৫৩২৬২৬৮৭ (বিকাশ ও রকেট-পারসোনাল) নম্বরে সহযোগিতা করবেন।’

বিভাগদী শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কবির হোসেন খুব সৎ ও নিরীহ একজন মানুষ। এরকম দুঃসহ একটি ঘটনা তার জীবন ওলট-পালট করে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে তাকে কিছু সহায়তা করছি কিন্তু তার ছেলের চিকিৎসায় অনেক টাকার প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আবু মুসার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে পরিবারের অক্ষমতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অত্যন্ত ভালো মানুষ কবির হোসেনের বড় আশা ছেলেকে হাফেজ বানাবেন। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে তার সব স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কিন্তু মুসাকে সুস্থ করে তুলতে হলে আরো টাকার প্রয়োজন। তার দরিদ্র পরিবারের সামর্থ্য নেই এই টাকার জোগাড় করার। আমরা সমাজের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি এই হাফেজ শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/charidik/public_html/wp-content/themes/jnews/class/Module/Block/Block_9_View.php on line 13

Related Posts