মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, সকাল ১০:০৫
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪,সকাল ১০:০৫

সম্মেলনে বড় পরিবর্তন আসবে না: কাদের

চারিদিক ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৭:০৬ pm

আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে বড় পরিবর্তন আসবে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের পর আগাম সম্মেলনের চিন্তা আছে, সেখানে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ পর্যন্ত আমাদের যে ভিশন, উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো। এবারের সম্মেলন হবে চ্যালেঞ্জিং টাইমে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আমরা যে সংকটে আছি, এই সংকটকে সম্ভাবনায় রুপ দিতে এই সম্মেলন।’

এই সম্মেলনে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুশৃঙ্খল সুসংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাতির কাছে অঙ্গীকার বদ্ধ। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাবো এবং আমাদের মূল লক্ষই হচ্ছে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।’

সাধারণ সম্পাদক পদে আপনি আবারও থাকছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সভাপতি আমাদের অপরিহার্য যিনি সভাপতি আছেন, তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। কাউন্সিলরদের একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে তাকে (শেখ হাসিনা) সমর্থন করবে না। কাজেই এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’

‘সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেরই ইচ্ছা থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল। আমার জানা মতে দশজন অন্তত প্রার্থী আছেন। যারা সাধারণ সম্পাদক হতে চান। কাজেই কে হবেন সেটা নেত্রীর ইচ্ছা এবং কাউন্সিল অধিবেশনে সেখানে কাউন্সিলরদের মতামতে এর প্রতিফলন ঘটবে। আমি এই মুহূর্তে কোনো প্রেডিকশনে যেতে পারি না। সময় এখনও মেচিউর হয়নি।’

নতুন মুখ আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে যে কমিটি হবে, সেখানে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আমরা পরবর্তী সম্মেলনে, নির্বাচনের পর আগামও করতে পারি। সেরকমও চিন্তাভাবনা আছে। তখন একটা বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। আপাতত বড় কোনো পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না।’

সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমাদের সবচেয়ে আগে কাউন্সিলর ডেলিগেটদের কার্ড গতকালকেই নিয়ে গেছে। অনেকেই ঢাকা আসতে শুরু করেছে। স্মরণকালের সম্মেলন হবে। সারা দেশে একটা জাগরণের ঢেউ আছে। এই সম্মেলনেরও আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি হবে।

বিতর্কিতরা বাদ যেতে পারে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কেউ পারেফেক্ট মানুষ না, ভুল ত্রুটি নিয়েই মানুষ। পারফেক্ট কেউ না, কাজেই পূর্ণতা খুঁজতে গেলে অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করতে হবে। বিতর্কিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম, আনোয়ার হোসেন, রিয়াজুল কবির কাউসার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: রাইজিংবিডি

Related Posts

সম্মেলনে বড় পরিবর্তন আসবে না: কাদের

চারিদিক ডেস্ক

২২ ডিসেম্বর, ২০২২,

৭:০৬ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে বড় পরিবর্তন আসবে না জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনের পর আগাম সম্মেলনের চিন্তা আছে, সেখানে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০৪১ পর্যন্ত আমাদের যে ভিশন, উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো। এবারের সম্মেলন হবে চ্যালেঞ্জিং টাইমে। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আমরা যে সংকটে আছি, এই সংকটকে সম্ভাবনায় রুপ দিতে এই সম্মেলন।’

এই সম্মেলনে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুশৃঙ্খল সুসংগঠিত উপস্থিতির মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই দেশকে সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাতির কাছে অঙ্গীকার বদ্ধ। সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাবো এবং আমাদের মূল লক্ষই হচ্ছে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ।’

সাধারণ সম্পাদক পদে আপনি আবারও থাকছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সভাপতি আমাদের অপরিহার্য যিনি সভাপতি আছেন, তিনি আমাদের ঐক্যের প্রতীক। কাউন্সিলরদের একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে তাকে (শেখ হাসিনা) সমর্থন করবে না। কাজেই এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’

‘সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেরই ইচ্ছা থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল। আমার জানা মতে দশজন অন্তত প্রার্থী আছেন। যারা সাধারণ সম্পাদক হতে চান। কাজেই কে হবেন সেটা নেত্রীর ইচ্ছা এবং কাউন্সিল অধিবেশনে সেখানে কাউন্সিলরদের মতামতে এর প্রতিফলন ঘটবে। আমি এই মুহূর্তে কোনো প্রেডিকশনে যেতে পারি না। সময় এখনও মেচিউর হয়নি।’

নতুন মুখ আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে যে কমিটি হবে, সেখানে তেমন একটা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আমরা পরবর্তী সম্মেলনে, নির্বাচনের পর আগামও করতে পারি। সেরকমও চিন্তাভাবনা আছে। তখন একটা বড় ধরনের পরিবর্তন হবে। আপাতত বড় কোনো পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবছি না।’

সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমাদের সবচেয়ে আগে কাউন্সিলর ডেলিগেটদের কার্ড গতকালকেই নিয়ে গেছে। অনেকেই ঢাকা আসতে শুরু করেছে। স্মরণকালের সম্মেলন হবে। সারা দেশে একটা জাগরণের ঢেউ আছে। এই সম্মেলনেরও আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি হবে।

বিতর্কিতরা বাদ যেতে পারে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কেউ পারেফেক্ট মানুষ না, ভুল ত্রুটি নিয়েই মানুষ। পারফেক্ট কেউ না, কাজেই পূর্ণতা খুঁজতে গেলে অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করতে হবে। বিতর্কিত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম, আনোয়ার হোসেন, রিয়াজুল কবির কাউসার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: রাইজিংবিডি

Related Posts