বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, সকাল ১১:০০
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩,সকাল ১১:০০

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক

৪ ডিসেম্বর, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৩:১৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে হারের পর অব্যাহত রয়েছে আর্জেন্টিনার জয়রথ। শনিবার দিবাগত রাতে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে লিওনেল মেসি ও জুলিয়ান আলভারেজের গোলে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আলবেসিলেস্তরা। অস্ট্রেলিয়ার গোলটিও আর্জেন্টিনাক বদৌলতে পাওয়া। আত্মঘাতী গোল করলেন এনজো ফের্নান্দেজ। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনার। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।

প্রথম থেকেই বলের দখল আর্জেন্টিনার। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেন মেসিরা।  রক্ষণ মজবুত রাখায় নজর বেশি ছিল সকারুদের। শুরু থেকেই শারীরিক ফুটবল খেলারও চেষ্টা তাদের।

১৮ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে একবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢোকে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা। কিন্তু গোলে শট মারার আগেই বল গোললাইন অতিক্রম করে চলে যায়। আর্জেন্টিনার কাছে বলের দখল বেশি থাকলেও তখনও গোলমুখী শট নিতে পারেননি মেসিরা।

২২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় তারা অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেখান থেকে কোনও বিপদ তৈরি হয়নি। আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ ও আক্রমণ ভাগের মধ্যে দেওয়াল তৈরি করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে থ্রু বলে সামনে এগোতে পারেননি মেসিরা। ডি মারিয়া না থাকায় প্রান্ত ধরে আক্রমণও কম হয়।

৩৫ মিনিট দেখা মিললো গোলের। বিশ্বকাপের নকআউটে প্রথম গোল করলেন লিওনেল মেসি। কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে ফাউল করায় ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিকিক থেকে সরাসরি গোল না হলেও ফিরতি বল পান মেসি। ডি পলের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। চলতি বিশ্বকাপে এটি মেসির তৃতীয় গোল।

গোল খেয়ে আক্রমণে কিছুটা জোর দেয় অস্ট্রেলিয়া। ফলে রক্ষণ ছেড়ে উঠে আসতে বাধ্য হচ্ছিল তারা।  সেই ফাঁকে আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনাও। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতির পর ম্যাচের ৫২ মিনিটে গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস ওটামেন্ডি ব্যাক পাস দিয়েছিলেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। মন্থর পাস। অজি স্ট্রাইকার এগিয়ে এলে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক।

এর ঠিক ৫ মিনিট পর এমন এক ভুলে গোল খেয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। গোলকিপারকে ব্যাক পাস দিয়েছিলেন অজি ডিফেন্ডার। গোলকিপার রায়ানের উচিত ছিল বল দ্রুত ক্লিয়ার করা। সেটা না করে মেসি, আলভারেজদের মধ্যে দিয়ে বলটি তিনি কী করতে চেয়েছিলেন সেটা নিজের কাছেই বোধহয় পরিষ্কার ছিলেন না। তার পা থেকে বল নিয়ে ফাঁকা গোলে ঢুকিয়ে দেন জুলিয়ান আলভারেজ।

ম্যাচের ৭৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে গোল মুখে শট নিয়েছিলেন গডউইন। এনজো ফের্নান্দেজে মাাথায় লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে, আত্মঘাতী গোল। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না এমিলিয়ানো মার্টিনেজের।

এক গোল পরিশোধের পর আরও মরিয়া হয়ে ওঠে অজিরা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে প্রায় সমতায় ফিরেই যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। আজিজ বেহেচি শট নিয়েছিলেন গোলপোস্টে মার্টিনেজের গায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে।

শেষ ১০ মিনিটে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেয় অজিরা। ম্য়াচের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। মার্টিনেজকে গোলপোস্টের নিচে একাই পেয়েছিলেন কুলো। শট নিয়েছিলেন সোজাসুজি। বল ঠেকিয়ে দেন মার্টিনেজ, বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে শেষ আটে মেসিরা।


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/charidik/public_html/wp-content/themes/jnews/class/Module/Block/Block_9_View.php on line 13

Related Posts

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ আটে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক

৪ ডিসেম্বর, ২০২২,

৩:১৪ পূর্বাহ্ণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে হারের পর অব্যাহত রয়েছে আর্জেন্টিনার জয়রথ। শনিবার দিবাগত রাতে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে লিওনেল মেসি ও জুলিয়ান আলভারেজের গোলে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে আলবেসিলেস্তরা। অস্ট্রেলিয়ার গোলটিও আর্জেন্টিনাক বদৌলতে পাওয়া। আত্মঘাতী গোল করলেন এনজো ফের্নান্দেজ। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনার। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।

প্রথম থেকেই বলের দখল আর্জেন্টিনার। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেন মেসিরা।  রক্ষণ মজবুত রাখায় নজর বেশি ছিল সকারুদের। শুরু থেকেই শারীরিক ফুটবল খেলারও চেষ্টা তাদের।

১৮ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমণ থেকে একবার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢোকে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলাররা। কিন্তু গোলে শট মারার আগেই বল গোললাইন অতিক্রম করে চলে যায়। আর্জেন্টিনার কাছে বলের দখল বেশি থাকলেও তখনও গোলমুখী শট নিতে পারেননি মেসিরা।

২২ মিনিটের মাথায় ম্যাচের প্রথম কর্নার পায় তারা অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেখান থেকে কোনও বিপদ তৈরি হয়নি। আর্জেন্টিনার মাঝমাঠ ও আক্রমণ ভাগের মধ্যে দেওয়াল তৈরি করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে থ্রু বলে সামনে এগোতে পারেননি মেসিরা। ডি মারিয়া না থাকায় প্রান্ত ধরে আক্রমণও কম হয়।

৩৫ মিনিট দেখা মিললো গোলের। বিশ্বকাপের নকআউটে প্রথম গোল করলেন লিওনেল মেসি। কর্নার ফ্ল্যাগের কাছে আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে ফাউল করায় ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। ফ্রিকিক থেকে সরাসরি গোল না হলেও ফিরতি বল পান মেসি। ডি পলের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। চলতি বিশ্বকাপে এটি মেসির তৃতীয় গোল।

গোল খেয়ে আক্রমণে কিছুটা জোর দেয় অস্ট্রেলিয়া। ফলে রক্ষণ ছেড়ে উঠে আসতে বাধ্য হচ্ছিল তারা।  সেই ফাঁকে আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনাও। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতির পর ম্যাচের ৫২ মিনিটে গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস ওটামেন্ডি ব্যাক পাস দিয়েছিলেন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। মন্থর পাস। অজি স্ট্রাইকার এগিয়ে এলে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক।

এর ঠিক ৫ মিনিট পর এমন এক ভুলে গোল খেয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। গোলকিপারকে ব্যাক পাস দিয়েছিলেন অজি ডিফেন্ডার। গোলকিপার রায়ানের উচিত ছিল বল দ্রুত ক্লিয়ার করা। সেটা না করে মেসি, আলভারেজদের মধ্যে দিয়ে বলটি তিনি কী করতে চেয়েছিলেন সেটা নিজের কাছেই বোধহয় পরিষ্কার ছিলেন না। তার পা থেকে বল নিয়ে ফাঁকা গোলে ঢুকিয়ে দেন জুলিয়ান আলভারেজ।

ম্যাচের ৭৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। বক্সের বেশ বাইরে থেকে গোল মুখে শট নিয়েছিলেন গডউইন। এনজো ফের্নান্দেজে মাাথায় লেগে বল জড়িয়ে যায় জালে, আত্মঘাতী গোল। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না এমিলিয়ানো মার্টিনেজের।

এক গোল পরিশোধের পর আরও মরিয়া হয়ে ওঠে অজিরা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে প্রায় সমতায় ফিরেই যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। আজিজ বেহেচি শট নিয়েছিলেন গোলপোস্টে মার্টিনেজের গায়ে লেগে বল চলে যায় বাইরে।

শেষ ১০ মিনিটে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেয় অজিরা। ম্য়াচের একদম শেষ মুহূর্তে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। মার্টিনেজকে গোলপোস্টের নিচে একাই পেয়েছিলেন কুলো। শট নিয়েছিলেন সোজাসুজি। বল ঠেকিয়ে দেন মার্টিনেজ, বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয়ে শেষ আটে মেসিরা।


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/charidik/public_html/wp-content/themes/jnews/class/Module/Block/Block_9_View.php on line 13

Related Posts