ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে যশোরের মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়নের ১৬ গ্রামের মানুষের। পরপর ৩টি ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেদের জানমাল রক্ষায় রাতে সজাগ থাকছেন এ অঞ্চলের লোকজন।
এদিকে, রোহিতা ইউনিয়নে ডাকাতি ঠেকাতে জনগণকে সজাগ থাকতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি দলবেঁধে পাড়া-মহল্লায় ও মোড়ে মোড়ে পাহারা দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকর যুবকেরা। তারা রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করছেন।
৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ভান্ডারি মোড়ে ইউনিয়নের সব মেম্বর, গ্রাম পুলিশ ও যুবকদের ব্রিফিং করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। এরপর আমরা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে পাহারায় ছিলাম। আমার ওয়ার্ডে ঝুঁকিপূর্ণ ৪ পয়েন্টে লাঠিসোঁটা নিয়ে ৫-৭ জন করে পাহারায় ছিল ‘
মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট ছিল। রাতভোর আমাদের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, ওসি শেখ মনিরুজ্জামান ও পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান টহলে ছিলেন। ডাকাত ধরা না পড়া পর্যন্ত জনগণের নিরাপত্তায় আমরা পাহারায় থাকব।’
এদিকে রোহিতায় ৩ ডাকাতির ঘটনায় উপজেলার অন্য এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জনগণকে রাতে সজাগ থাকতে কাশিমনগর ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে।
মাহমুদকাটি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘ঘরে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ি ও ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে থাকি। যে ভাবে ডাকাতি শুরু হয়েছে রাত হলি ঘুম আসে না।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রাতভোর আমরা জোরদার টহল দিচ্ছি। এলাকাবাসীদের নিয়ে ডাকাত প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ডাকাত ধরতে আমরা সর্বাধিক চেষ্টায় আছি। দ্রুত ভালো ফল আশা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১ মাসে উপজেলার রোহিতার ভান্ডারি মোড়ে আবুল কাসেম, কোদলাপাড়ায় মেঘনা বেকারির মালিক মশিয়ার রহমান ও সরসকাটি গ্রামের মোতালেব হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাতদল বাড়ির লোকজনকে বেধে মারপিট করে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে।