শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, রাত ৩:০০
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪,রাত ৩:০০

বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী জ্বালানি তেলের দাম

আন্তজার্তিক ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৯:৪১ pm

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। টানা কয়েকদিন ধরেই দরপতন হচ্ছিল। গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৯ ডলার ১১ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৮৭ ডলার ১১ সেন্টে। এই দর গত দুমাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সরবরাহ ব্যবস্থায় উদ্বেগ দূর হওয়ায় তেলের দাম এমন নিম্নমুখী। কারণ গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ দেশগুলোর রাশিয়ান তেলের মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রস্তাবিত রেঞ্জ বা সীমা বর্তমান বাণিজ্য স্তরের চেয়ে বেশি। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে দেখা গেছে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৮৪ দশমিক ৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৭৭ দশমিক ৪৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা বর্তমান মাত্রার চেয়ে বেশি হতে যাচ্ছে এমন খবর প্রকাশের পর বুধবার দুই বেঞ্চমার্কের দামই ৩ শতাংশ কমে যায়।

ইউরোপীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জি-৭ রাশিয়ান সমুদ্রজাত তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ ডলারের মধ্য নির্ধারণ করতে চাচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারগুলো এখনো দামের বিষয়ে একমত হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার তেলের জন্য যে মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়া হবে তা যদি বর্তমানের চেয়ে বেশি হয় তাহলে রাশিয়া তেল বিক্রি স্বাভাবিক রাখবে। এতে সরবরাহ সংকটের ঝুঁকি কমে যাবে।

কমনওয়েলথ ব্যাংকের পণ্য বিশ্লেষক বিবেক ধর বলেছেন, মূল্যসীমাটি বাজারের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হবে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কিছু ভারতীয় ও চীনা পরিশোধক ইউরাল ক্রুডের প্রস্তাবিত মূল্যসীমার নিচে দাম দিচ্ছে। রাশিয়ার ক্রুড অয়েল ইউরাল নামে পরিচিত।

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে দুই ধরনের তেলের দামই ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ সরকারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন ৮০ টাকা নির্ধারণ করে।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেল তেল ১৩৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগে ওঠানামার মধ্যেই তেলের দর ১১০ থেকে ১১৫ ডলারের মধ্যে ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে গড়ে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৪২ ডলার। ২০২১ সালের অক্টোবরে এই দাম ৮৫ ডলারে ওঠে। সে সময়ই দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হয়।

Related Posts

বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী জ্বালানি তেলের দাম

আন্তজার্তিক ডেস্ক

২৪ নভেম্বর, ২০২২,

৯:৪১ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। টানা কয়েকদিন ধরেই দরপতন হচ্ছিল। গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৯ ডলার ১১ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। আর ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৮৭ ডলার ১১ সেন্টে। এই দর গত দুমাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সরবরাহ ব্যবস্থায় উদ্বেগ দূর হওয়ায় তেলের দাম এমন নিম্নমুখী। কারণ গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭ দেশগুলোর রাশিয়ান তেলের মূল্য নির্ধারণের জন্য প্রস্তাবিত রেঞ্জ বা সীমা বর্তমান বাণিজ্য স্তরের চেয়ে বেশি। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে দেখা গেছে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৮৪ দশমিক ৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪৬ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৭৭ দশমিক ৪৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়ার তেলের ওপর মূল্যসীমা বর্তমান মাত্রার চেয়ে বেশি হতে যাচ্ছে এমন খবর প্রকাশের পর বুধবার দুই বেঞ্চমার্কের দামই ৩ শতাংশ কমে যায়।

ইউরোপীয় একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জি-৭ রাশিয়ান সমুদ্রজাত তেলের মূল্য ব্যারেলপ্রতি ৬৫ থেকে ৭০ ডলারের মধ্য নির্ধারণ করতে চাচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরকারগুলো এখনো দামের বিষয়ে একমত হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার তেলের জন্য যে মূল্যসীমা বেঁধে দেওয়া হবে তা যদি বর্তমানের চেয়ে বেশি হয় তাহলে রাশিয়া তেল বিক্রি স্বাভাবিক রাখবে। এতে সরবরাহ সংকটের ঝুঁকি কমে যাবে।

কমনওয়েলথ ব্যাংকের পণ্য বিশ্লেষক বিবেক ধর বলেছেন, মূল্যসীমাটি বাজারের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হবে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করবে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কিছু ভারতীয় ও চীনা পরিশোধক ইউরাল ক্রুডের প্রস্তাবিত মূল্যসীমার নিচে দাম দিচ্ছে। রাশিয়ার ক্রুড অয়েল ইউরাল নামে পরিচিত।

২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে দুই ধরনের তেলের দামই ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশ সরকারও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন ৮০ টাকা নির্ধারণ করে।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে একপর্যায়ে প্রতি ব্যারেল তেল ১৩৯ ডলারে গিয়ে ঠেকেছিল। এরপর থেকে বিভিন্ন উদ্যোগে ওঠানামার মধ্যেই তেলের দর ১১০ থেকে ১১৫ ডলারের মধ্যে ছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে গড়ে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছিল ৪২ ডলার। ২০২১ সালের অক্টোবরে এই দাম ৮৫ ডলারে ওঠে। সে সময়ই দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়ানো হয়।

Related Posts