ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে জাহিদ(১৯) নামে এক বখাটের ক্ষুরের আঘাতে এক কলেজ ছাত্রীকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল কাওয়ামারা বন্দে এ ঘটনা ঘটেছ। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের উথুরী গ্রামের অটোরিকসা চালক মো. রোকন উদ্দিনের মেয়ে জান্নাত আরা (১৭) মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের বখাটে ছেলে জাহিদ প্রায়ই কলেজে যাওয়া আসার পথে জান্নাত আরাকে উত্যক্ত করাসহ প্রেমের প্রস্তাত দিত। বিষয়টি জান্নাত আরা তার বাবাকে জানালে জাহিদের বাবা হুমায়ুন কবিরের কাছে বিচার দেন। এতে জাহিদ ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে আরো বেশী উত্যক্ত করতে থাকে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জান্নাত গফরগাঁও সদরে আসার সময় সালটিয়া ইউনিয়নের ধামাইল গ্রামের কাওয়ামারা বন্দ এলাকায় বখাটে জাহিদ পথ আগলে আবারো প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে জান্নাত অস্বীকৃতি জানালে বখাটে জাহিদ ক্ষুর দিয়ে দিয়ে মেয়েটির গালে জখম করে। এ সময় ডাক-চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বখাটে জাহিদ পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় জান্নাতকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জান্নাতের পিতা রোকন উদ্দিন বলেন, বখাটে জাহিদ প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। একাধিকবার জাহিদের বাবার কাছে বিচার দিয়েও কোন কাজ হয়নি। আমি বিচার চাই।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছি। বখাটে জাহিদ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।