বরগুনার আমতলীতে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিপুরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে ও কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৫) গত এক বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে হাবিবুল্লাহ’র (২০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে উভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। বর্তমানে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ’র বাড়িতে থেকেই ঘর-সংসার করছেন।
সম্প্রতি ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী স্ত্রীকে হাবিবুল্লাহ তার পিতার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে স্ত্রী রাজি না হলে স্বামী হাবিবুল্লাহ তার পিতা ওমর আলী, ননদ জামাই শহিদুল ও শ্বাশুড়ি শিউলি বেগম যৌতুকের জন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ও মানুষিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকেন। যা ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর সহ্য করার মত অবস্থার বাহিরে চলে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দিবাগত ১০টার দিকে যৌতুক নিয়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরে থাকা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার গোঙানির শব্দ শুনে এবং বিষপান করেছে দেখে তাৎক্ষণিক ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন ।
হাসপাতালে ভর্তির সাথে সাথেই কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত ওয়াস করায় ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রানে বেঁচে যান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।
বিষপানে আত্মহত্যা করতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীর পিতা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী হাবিবুল্লাহসহ মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময়ে শারিরীক ও মানুষিকভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। যা আমার মেয়ে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করার পথ বেঁচে নেয়। আল্লাহ আমার মেয়েকে বাঁচিয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।