রাত পোহালেই ঈদুল আযহা।শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে পশু হাটগুলো।সারাদেশের মতো বরগুনার আমতলীতে শেষ দিনে জমে উঠেছে পশুর হাট। উপজেলার চুনাখালী গরুর হাটটি সকাল থেকেই দেশীয় গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে। ক্রেতাদেরও উপচেপড়া ভীর লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতারা দাম সহনীয় বললেও ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা।
সরেজমিনে বেলা ১১টার দিকে চুনাখালী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট, বড় ও মাঝারি সাইজের দেশীয় গরুতে বাজার ভরে গেছে। বেচা-বিক্রিও মোটামুটি।
তবে বিকেলের দিকে বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশা করছেন হাট পরিচালনা কমিটির নেতারা।
কেওয়াবুনিয়া গ্রামের বিক্রেতা মো. নাসির মিয়া বলেন, এক লাখ বিশ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করেছি। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে চুনাখালী হাটে গরুর দাম কিছুটা কম। যেহেতু কালকে কোরবানি তাই বিক্রি করে দিয়েছি।
অপর বিক্রেতা সোহরাব ব্যাপারী বলেন, সকালে তেমন বেচা বিক্রি না হলেও বিকেলে বেচা বিক্রি বাড়বে। তিনি আরো বলেন, হাটে ছোট গরুর চাহিদা অনেক বেশী।
ক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন,’যেহেতু আগামীকাল ঈদুল আযহা তাই যেভাবেই হোক কোরবানি দেওয়ার জন্য আজ গরু কিনতেই হবে। এ জন্য পটুয়াখালী থেকে গরু কিনতে আমতলীর চুনাখালী বাজারে আসছে।’
অপর ক্রেতা হারুন হাওলাদার, নজরুল খান, দেলোয়ার খলিফা, বাবুল হাওলাদার, নিজাম পাহলান, জালাল গাজী ও দুলাল মিয়া বলেন, হাটে গরুতে সয়লাব এবং ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু কেউ গরু কিনছেন না। সবাই দাম বলে চলে যাচ্ছেন। বিকেলে দাম কমতে পারে।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে কোরবানীর পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ পশু ক্রয়-বিক্রয় করে গন্তব্যে পৌছাতে পারে। জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ গরুর হাটে দায়িত্ব পালন করছে। গরু মোটাতাজাকরন ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশু পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিমও রয়েছে। যাতে কোন রোগাক্রান্ত পশু বাজারে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে মেডিকেল টিম বিক্রিত গরু পরীক্ষা নিরিক্ষা করছেন।
চুনাখালী বাজারের ইজারাদার রাশাওয়ান মাতুব্বর বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু আসতে শুরু করছে। দুপুরের মধ্যে বাজারটিতে গরু ভরে গেছে। ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেচা বিক্রিও মোটামুটি ভালো। যেহেতু আজকেই কোরবানির শেষ হাট তাই বিকেলে বেচা বিক্রি আরো বাড়বে বলে তিনি জানান।