রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, সন্ধ্যা ৬:০২
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,সন্ধ্যা ৬:০২

শোকে রুপ নিল জসিমের ঈদ আনন্দ!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

৫ জুলাই, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৯:৪৩ pm

জসিম হাওলাদার চাকরি করেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অফিসার পদে। বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়। বর্তমানে কক্সবাজারে পেকুয়া শাখায় কর্মরত তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন কর্মস্থলেই। এবার বাড়িতে ঈদ করবেন সেই আশায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আগেভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্যাংক বন্ধ হলে আসবে তিনি। কিন্তু তার সেই আশা-আনন্দ সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী জাহিদা বেগম, ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) ও মেয়ে জান্নাতীকে (২) নিয়ে উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই বাড়ির পুকরে পড়ে মারা যায় জান্নাতী। সকাল ৯টার দিকে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মিশুটিকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (স্থানীয় ইউপি সদস্য) আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, তার গ্রামেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি। দুই সন্তান নিয়ে জাহিদা বেগম কক্সবাজার থেকে সকালে এসেছেন বাড়িতে। পরে বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে করতে জান্নাতী পুকুরে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

প্যানেল চেয়ারম্যান জানান, নিহত জান্নাতীর বাবা জসিম হাওলাদার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজারের পেকুয়া শাখায় চাকরি করেন। এবার কোরবানির ঈদ বাড়িতে করবেন সেজন্য আগেই স্ত্রী-সন্তানদের পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তার সেই আনন্দ শোকে পরিণত হলো।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ববি সাহা জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।

Related Posts

শোকে রুপ নিল জসিমের ঈদ আনন্দ!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

৫ জুলাই, ২০২২,

৯:৪৩ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

জসিম হাওলাদার চাকরি করেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অফিসার পদে। বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়। বর্তমানে কক্সবাজারে পেকুয়া শাখায় কর্মরত তিনি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকেন কর্মস্থলেই। এবার বাড়িতে ঈদ করবেন সেই আশায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আগেভাগে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্যাংক বন্ধ হলে আসবে তিনি। কিন্তু তার সেই আশা-আনন্দ সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী জাহিদা বেগম, ছেলে আব্দুল্লাহ (৫) ও মেয়ে জান্নাতীকে (২) নিয়ে উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি। ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই বাড়ির পুকরে পড়ে মারা যায় জান্নাতী। সকাল ৯টার দিকে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মিশুটিকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (স্থানীয় ইউপি সদস্য) আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, তার গ্রামেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি। দুই সন্তান নিয়ে জাহিদা বেগম কক্সবাজার থেকে সকালে এসেছেন বাড়িতে। পরে বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করতে করতে জান্নাতী পুকুরে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

প্যানেল চেয়ারম্যান জানান, নিহত জান্নাতীর বাবা জসিম হাওলাদার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজারের পেকুয়া শাখায় চাকরি করেন। এবার কোরবানির ঈদ বাড়িতে করবেন সেজন্য আগেই স্ত্রী-সন্তানদের পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তার সেই আনন্দ শোকে পরিণত হলো।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. ববি সাহা জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।

Related Posts