রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, সন্ধ্যা ৬:২৮
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,সন্ধ্যা ৬:২৮

নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

৪ জুলাই, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৩:০৬ pm

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারীতে পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার মূলহোতা মাহাবুব আলম নামে এক মাইক্রো চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়াইচ ইউনিয়নের ওই ইউপি সদস্য শনিবার (০২ জুলাই) বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে এক আত্মীয়ের জন্য পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা নামক এলাকায় পথ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ওই স্থানে বসে থাকা কয়েকজন যুবককে তিনি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিতে বলেন। এ সুযোগে তারা নারীকে পাশের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। রোববার সকালে ওই নারী ইউপি সদস্য থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে জানান। ওই দিন অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মাহাবুব আলম (৩৫) নামে এক মাইক্রো চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর একসাথে কাজ করছি কোনদিন খারাপ কিছু তার মধ্যে পাইনি। পাত্রী দেখতে গিয়ে ওই নারী এ ঘটনার স্বীকার হয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।

ভুক্তভোগী সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি রিসিভ করেন স্বামী গ্রাম পুলিশ আজগর আলী শিকদার। তিনি বলেন, এমনিই মানসম্মান চলে গেছে। সবকিছু আপনারা শুনেছেন। স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। সুস্থ্য হলে বাড়ি চলে যাবো। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মহিলা মেম্বার বিষয়টি জানানোর পরই ঘটনায় জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিন রাতেই এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় এক মহিলা ইউপি সদস্যের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

Related Posts

নারী ইউপি সদস্যকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

৪ জুলাই, ২০২২,

৩:০৬ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা বোয়ালমারীতে পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার মূলহোতা মাহাবুব আলম নামে এক মাইক্রো চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (০৪ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়াইচ ইউনিয়নের ওই ইউপি সদস্য শনিবার (০২ জুলাই) বিকেলে বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে এক আত্মীয়ের জন্য পাত্রী দেখতে আসেন। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা নামক এলাকায় পথ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় ওই স্থানে বসে থাকা কয়েকজন যুবককে তিনি আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিতে বলেন। এ সুযোগে তারা নারীকে পাশের একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। রোববার সকালে ওই নারী ইউপি সদস্য থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে জানান। ওই দিন অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মাহাবুব আলম (৩৫) নামে এক মাইক্রো চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাহাবুব বোয়ালমারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের রায়পুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে বলেন, প্রায় সাড়ে চার বছর একসাথে কাজ করছি কোনদিন খারাপ কিছু তার মধ্যে পাইনি। পাত্রী দেখতে গিয়ে ওই নারী এ ঘটনার স্বীকার হয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান।

ভুক্তভোগী সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি রিসিভ করেন স্বামী গ্রাম পুলিশ আজগর আলী শিকদার। তিনি বলেন, এমনিই মানসম্মান চলে গেছে। সবকিছু আপনারা শুনেছেন। স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। সুস্থ্য হলে বাড়ি চলে যাবো। ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মহিলা মেম্বার বিষয়টি জানানোর পরই ঘটনায় জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিন রাতেই এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

সোমবার দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় এক মহিলা ইউপি সদস্যের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

Related Posts