রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ভোর ৫:৪৮
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,ভোর ৫:৪৮

জমে উঠেছে ভাটার আমতলা পশুহাট

খাসি ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

নাজমুস সাকিব আকাশ

৩ জুলাই, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

১০:৫১ pm

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। হাতে আর মাত্র ছয় দিন। কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসায় যশোরের অন্যতম বাঘারপাড়া উপজেলার ‘ভাটার আমতলা পশুহাট’ জমে উঠেছে। রোববার (০৩ জুলাই) যশোরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাটে গরু আসতে শুরু করে। দুপুর গড়াতেই কোরবানির গরু ও ছাগলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে হাট।

ইজারা ও বিক্রেতারা বলছেন, এ বছরে ক্রেতাদের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদাই বেশি। যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় স্থিতিশীল রয়েছে কোরবানির এই পশুর হাট। যে সব বিক্রেতারা বড় গরু এনেছেন তারা অনেকটা হতাশ। তবে আগামী হাটে বড় গরুর চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করছেন হাট সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আমাদের আয় কমেছে, ফলে গরু কেনার বাজেটও কমেছে। তাই ইচ্ছা থাকার পরও বাধ্য হয়ে ছোট-মাঝারি গরু কিনতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে অনেকেই আবার খাসি কিনছেন। আবার অনেক ক্রেতাই গরু না কিনেই বাড়ি ফিরছেন। বাড়ি গরু রাখার জায়গা না থাকায় তারা কোরবানির শেষ হাটে কিনবেন বলে জানিয়েছেন।

রোববার দুপুরে হাট ঘুরে দেখা যায়, যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে ভাটার আমতলা পশুহাট। ট্রাক ও নছিমন-করিমনে করে হাটে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। কেউ কেউ গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন হেঁটে। বড় গরুর তুলনায় মাঝারি আকৃতির গরু কেনার চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা গেছে হাটে।

মাগুরার সীমাখালীর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন বলেন, দুটি গরু নিয়ে এসেছিলাম হাটে। এর মধ্যে একটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আরেকটি গরুর দাম ৯০ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছি। ৮৫ হলে ছেড়ে দেব। ক্রেতা ৮২ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী নড়াইলের তুলারামপুরের কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, ছোট গরুটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বড় গরুটি ২ লাখ টাকায় বিক্রির আশা রয়েছে। তবে আশানুরুপ দাম মিলছে না। এ বছরে ক্রেতাদের চাহিদা ছোট গরুর দিকে।

যশোর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ছাগল কিনতে আসা এক নারী জানান, এ বছরে ছাগল কোরবানি দিবো। তাই আগেভাগে হাটে এসেছি ছাগল কিনতে।

ভাটার আমতলা পশুহাট ইজারাদার আমিরুল ইসলাম বলেন, আজকে বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। হাটে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গরু-ছাগল উঠেছে। যার সিংহভাগই দেশি। আগামী শুক্রবার হাটে প্রায় ৫০ হাজারের মতো কোরবানির পশু আমদানি হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। হাটে পুলিশ কন্ট্রোল টিম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হাট কমিটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। যেজন্য সুনামের সাথে নির্বিঘ্নে গরু বেচাকেনা চলছে।

খালি চোখে সুস্থ গরু চেনার প্রাথমিক লক্ষণ কী, জানতে চাইলে হাটে দায়িত্বরত ভেটেনারি মেডিকেল টিমের সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, স্বাভাবিকভাবে অসুস্থ গরুগুলো নিস্তেজ থাকে। খেতে চায় না, হাঁটতে চায় না। সুস্থ গরুর চামড়া ধরে টান দিয়ে ছেড়ে দিলে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তবে পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো।

Related Posts

জমে উঠেছে ভাটার আমতলা পশুহাট

খাসি ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

নাজমুস সাকিব আকাশ

৩ জুলাই, ২০২২,

১০:৫১ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। হাতে আর মাত্র ছয় দিন। কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসায় যশোরের অন্যতম বাঘারপাড়া উপজেলার ‘ভাটার আমতলা পশুহাট’ জমে উঠেছে। রোববার (০৩ জুলাই) যশোরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাটে গরু আসতে শুরু করে। দুপুর গড়াতেই কোরবানির গরু ও ছাগলে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে হাট।

ইজারা ও বিক্রেতারা বলছেন, এ বছরে ক্রেতাদের মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদাই বেশি। যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর আমদানি বেশি হওয়ায় স্থিতিশীল রয়েছে কোরবানির এই পশুর হাট। যে সব বিক্রেতারা বড় গরু এনেছেন তারা অনেকটা হতাশ। তবে আগামী হাটে বড় গরুর চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করছেন হাট সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, করোনার কারণে আমাদের আয় কমেছে, ফলে গরু কেনার বাজেটও কমেছে। তাই ইচ্ছা থাকার পরও বাধ্য হয়ে ছোট-মাঝারি গরু কিনতে হচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে অনেকেই আবার খাসি কিনছেন। আবার অনেক ক্রেতাই গরু না কিনেই বাড়ি ফিরছেন। বাড়ি গরু রাখার জায়গা না থাকায় তারা কোরবানির শেষ হাটে কিনবেন বলে জানিয়েছেন।

রোববার দুপুরে হাট ঘুরে দেখা যায়, যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে ভাটার আমতলা পশুহাট। ট্রাক ও নছিমন-করিমনে করে হাটে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। কেউ কেউ গরু বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন হেঁটে। বড় গরুর তুলনায় মাঝারি আকৃতির গরু কেনার চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা গেছে হাটে।

মাগুরার সীমাখালীর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন বলেন, দুটি গরু নিয়ে এসেছিলাম হাটে। এর মধ্যে একটি ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। আরেকটি গরুর দাম ৯০ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছি। ৮৫ হলে ছেড়ে দেব। ক্রেতা ৮২ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী নড়াইলের তুলারামপুরের কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, ছোট গরুটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। বড় গরুটি ২ লাখ টাকায় বিক্রির আশা রয়েছে। তবে আশানুরুপ দাম মিলছে না। এ বছরে ক্রেতাদের চাহিদা ছোট গরুর দিকে।

যশোর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ছাগল কিনতে আসা এক নারী জানান, এ বছরে ছাগল কোরবানি দিবো। তাই আগেভাগে হাটে এসেছি ছাগল কিনতে।

ভাটার আমতলা পশুহাট ইজারাদার আমিরুল ইসলাম বলেন, আজকে বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। হাটে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গরু-ছাগল উঠেছে। যার সিংহভাগই দেশি। আগামী শুক্রবার হাটে প্রায় ৫০ হাজারের মতো কোরবানির পশু আমদানি হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। হাটে পুলিশ কন্ট্রোল টিম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হাট কমিটির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা। যেজন্য সুনামের সাথে নির্বিঘ্নে গরু বেচাকেনা চলছে।

খালি চোখে সুস্থ গরু চেনার প্রাথমিক লক্ষণ কী, জানতে চাইলে হাটে দায়িত্বরত ভেটেনারি মেডিকেল টিমের সদস্য আজিজুর রহমান বলেন, স্বাভাবিকভাবে অসুস্থ গরুগুলো নিস্তেজ থাকে। খেতে চায় না, হাঁটতে চায় না। সুস্থ গরুর চামড়া ধরে টান দিয়ে ছেড়ে দিলে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তবে পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো।

Related Posts