বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, সকাল ১০:০১
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩,সকাল ১০:০১

২০ বছর পর সম্মেলন, স্বচ্ছ নেতৃত্ব চায় তৃণমূল

ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগ

২৮ জুন, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৭:১০ pm

প্রতিনিধি, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) : দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় দুই যুগ পর পহেলা জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে কেটেছে দীর্ঘদিনের হতাশা। আর তৃণমূলে ফিরেছে প্রাণ। উচ্ছ্বাসিত পদপ্রত্যাশী নেতারা নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে প্যানা-পোস্টার সাটানোর মধ্য দিয়ে। কেন্দ্রে লবিংয়েও পিছিয়ে নেই কেউ।

সুদীর্ঘ সময় কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর গ্রুপিং রাজনীতির ফলে চরম হতাশায় দ্বিধা বিভক্তিতে পড়েছিলেন তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। কয়েকভাগে বিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বে এসব কোন্দল ও বিভক্তি নিরসন সম্ভব বলে দাবি দলের স্থানীয় প্রবীণ নেতাদের।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে তৃণমূলের ভোটারদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ আবদুল মতিন সরকার সভাপতি ও আবুল কালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরের শেষের দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রার্থী হয়ে আবদুল মতিন সরকার সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচিত হন। এ সময় সিনিয়র সহ-সভাপতি হায়দার আলী মাস্টারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।

নয় বছর পর ২০১২ সালে তৎকালীন সাংসদ রেজা আলীকে আহবায়ক করে ৭১ সদস্যের উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। রেজা আলীর আহবায়ক কমিটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন ও ১০৬টি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন করে। ২০১৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য একাধিকবার দিন তারিখ নির্ধারন করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে শেষ পর্যন্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়াতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দিনদিন বেড়েই চলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিং। এতে দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয় আর হতাশ হয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

আগামী পহেলা জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় আবার প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরেছে তৃণমূলে। সরব হয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। ঘোষণার পরপরই প্যানা-ফেস্টুনে ছেয়ে যাচ্ছে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ। লবিংয়েও পিছিয়ে নেই কেউ। নিজেদের অবস্থান বুঝাতে সবাই চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় লবিং। একপক্ষ অপর পক্ষের দলীয় কার্যক্রমের বিরোধিতা, ভূমি দস্যুতাসহ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রার্থীদের অভিযোগ তুলে ধরছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় জেলা সভাপতি সাধারন সম্পাদক কমিটি ঘোষণা করবেন বলে সূত্র জানায়।

সভাপতি পদে স্থানীয় সাংসদ রুহুল আমিন মাদানী ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকমীদের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় লবিং। বিগত পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী নবী নেওয়াজ সরকার সভাপতি পদে প্রার্থী জোড় লবিংয়ের পাশাপাশি করে যাচ্ছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে করছেন নিয়মিত জনসংযোগ। আরেক প্রার্থী আবুল কালাম দীর্ঘ ১৯ বছর সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সভাপতি হওয়ার চেষ্টায় চালাচ্ছেন লবিং।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় জিয়াউল হক সবুজ ছিলেন দীর্ঘ ১৩ বছর সাংগঠনিক ও ৮ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক। তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে চালাচ্ছেন গনসংযোগ। অপর প্রার্থী ইকবাল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য। ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর দলীয় কোন পদে না থাকলেও এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভূমি জালিয়াতি ও জমিসর দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

এর আগে বিগত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানর প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক পেয়ে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে টাকার খেলা খেলতে গিয়ে অন্যের জমির জাল দলিল সৃজনকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগ জাল দলিলে জড়িয়ে জনগণের তোপে মুখে পড়েন। যা বর্তমানে দুদক পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই প্রার্থী টাকার বিনিময়েই বাগিয়ে নিতে চান সাধারণ সম্পাদক পদ।

এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম মন্ডল ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন উজ্জল সাধারণ সম্পাদক পদে চালিয়ে যাচ্ছেন জোড় লবিং।

তবে এবারের সম্মেলনে চমক দেখাতে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার। বিরোধী দলের রাজপথে পথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে ২০১৪ সালে যুবলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালনের তিন মাসের মধ্যে সকল ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন করে উপজেলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে নিজের সাংঠনিক দক্ষতা ও সফলতার জানান দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় লবিং।

ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সাবেক এমপি রেজা আলী বলেন, যোগ্যরা নেতৃত্বে আসলে, দলীয় কার্যক্রম চাঙ্গা থাকবে। যেকোন পরিস্থিতিতে সংগঠন শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে করতে পারবে।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকার বলেন, আমি মনে করি তৃণমূলের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমেই যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হলে দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেবেন নেতারা।


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/charidik/public_html/wp-content/themes/jnews/class/Module/Block/Block_9_View.php on line 13

Related Posts

২০ বছর পর সম্মেলন, স্বচ্ছ নেতৃত্ব চায় তৃণমূল

ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগ

২৮ জুন, ২০২২,

৭:১০ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

প্রতিনিধি, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) : দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় দুই যুগ পর পহেলা জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে নেতাকর্মীদের মাঝে কেটেছে দীর্ঘদিনের হতাশা। আর তৃণমূলে ফিরেছে প্রাণ। উচ্ছ্বাসিত পদপ্রত্যাশী নেতারা নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে প্যানা-পোস্টার সাটানোর মধ্য দিয়ে। কেন্দ্রে লবিংয়েও পিছিয়ে নেই কেউ।

সুদীর্ঘ সময় কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর গ্রুপিং রাজনীতির ফলে চরম হতাশায় দ্বিধা বিভক্তিতে পড়েছিলেন তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। কয়েকভাগে বিভক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ। সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বে এসব কোন্দল ও বিভক্তি নিরসন সম্ভব বলে দাবি দলের স্থানীয় প্রবীণ নেতাদের।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে তৃণমূলের ভোটারদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে তৎকালীন স্থানীয় সাংসদ আবদুল মতিন সরকার সভাপতি ও আবুল কালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরের শেষের দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রার্থী হয়ে আবদুল মতিন সরকার সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচিত হন। এ সময় সিনিয়র সহ-সভাপতি হায়দার আলী মাস্টারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।

নয় বছর পর ২০১২ সালে তৎকালীন সাংসদ রেজা আলীকে আহবায়ক করে ৭১ সদস্যের উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। রেজা আলীর আহবায়ক কমিটি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন ও ১০৬টি ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন করে। ২০১৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য একাধিকবার দিন তারিখ নির্ধারন করা হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে শেষ পর্যন্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়াতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দিনদিন বেড়েই চলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিং। এতে দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয় আর হতাশ হয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

আগামী পহেলা জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় আবার প্রাণ চাঞ্চল্যতা ফিরেছে তৃণমূলে। সরব হয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। ঘোষণার পরপরই প্যানা-ফেস্টুনে ছেয়ে যাচ্ছে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ। লবিংয়েও পিছিয়ে নেই কেউ। নিজেদের অবস্থান বুঝাতে সবাই চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় লবিং। একপক্ষ অপর পক্ষের দলীয় কার্যক্রমের বিরোধিতা, ভূমি দস্যুতাসহ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রার্থীদের অভিযোগ তুলে ধরছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচনের আগ্রহ প্রকাশ করলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় জেলা সভাপতি সাধারন সম্পাদক কমিটি ঘোষণা করবেন বলে সূত্র জানায়।

সভাপতি পদে স্থানীয় সাংসদ রুহুল আমিন মাদানী ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকমীদের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় লবিং। বিগত পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী নবী নেওয়াজ সরকার সভাপতি পদে প্রার্থী জোড় লবিংয়ের পাশাপাশি করে যাচ্ছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে করছেন নিয়মিত জনসংযোগ। আরেক প্রার্থী আবুল কালাম দীর্ঘ ১৯ বছর সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সভাপতি হওয়ার চেষ্টায় চালাচ্ছেন লবিং।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় জিয়াউল হক সবুজ ছিলেন দীর্ঘ ১৩ বছর সাংগঠনিক ও ৮ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক। তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে চালাচ্ছেন গনসংযোগ। অপর প্রার্থী ইকবাল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য। ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর দলীয় কোন পদে না থাকলেও এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভূমি জালিয়াতি ও জমিসর দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

এর আগে বিগত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানর প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ চালিয়ে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীক পেয়ে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে টাকার খেলা খেলতে গিয়ে অন্যের জমির জাল দলিল সৃজনকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগ জাল দলিলে জড়িয়ে জনগণের তোপে মুখে পড়েন। যা বর্তমানে দুদক পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই প্রার্থী টাকার বিনিময়েই বাগিয়ে নিতে চান সাধারণ সম্পাদক পদ।

এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম মন্ডল ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন উজ্জল সাধারণ সম্পাদক পদে চালিয়ে যাচ্ছেন জোড় লবিং।

তবে এবারের সম্মেলনে চমক দেখাতে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জুয়েল সরকার। বিরোধী দলের রাজপথে পথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে ২০১৪ সালে যুবলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালনের তিন মাসের মধ্যে সকল ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন করে উপজেলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে নিজের সাংঠনিক দক্ষতা ও সফলতার জানান দেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় লবিং।

ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও সাবেক এমপি রেজা আলী বলেন, যোগ্যরা নেতৃত্বে আসলে, দলীয় কার্যক্রম চাঙ্গা থাকবে। যেকোন পরিস্থিতিতে সংগঠন শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে করতে পারবে।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মতিন সরকার বলেন, আমি মনে করি তৃণমূলের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমেই যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হলে দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেবেন নেতারা।


Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/charidik/public_html/wp-content/themes/jnews/class/Module/Block/Block_9_View.php on line 13

Related Posts