রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, সন্ধ্যা ৭:২৪
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩,সন্ধ্যা ৭:২৪

টিপু হত্যায় মুসা জড়িত : ডিবি

১০ জুন, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৪:৪৮ pm

চারিদিক ডেস্ক : রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডে ওমান থেকে গ্রেফতার সুমন শিকদার মুসা জড়িত বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চাইবে ডিবি।

চলতি বছর ২৪ মার্চ রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন টিপু। এ ঘটনায় নিহত হন সামিয়া আফনান প্রীতি নামে এক কলেজ ছাত্রী।

শাহজাহানপুর থানায় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। শুক্রবার (১০ জুন) মুসাকে আদালেতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, এ ডাবল মার্ডারের ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেফতার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম উঠে আসে। পরে জানা যায় তিনি ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান।

এরপর তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করা হয়। সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এরমধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে চলে গেছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, আমরা মুসাকে না পেয়ে মামলার তদন্তে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম। তবে এনসিবির মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় মুসাকে ওমান থেকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবো।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তদন্তে কার দায় আছে বা নেই অথবা কাকে বাদ বা যুক্ত করা হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মুসাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আমরা মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুটার আকাশের জবানবন্দিতে মুসার নাম আসে। এছাড়া, তদন্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুসা জড়িত বলে পাওয়া গেছে। মুসাকে যেহেতু রিমান্ডে আনবো, এ মুহূর্তে সকল উত্তর দিতে পারবো না। তবে প্রাথমিকভাবে জেনেছি মুসা পরিকল্পনায় জড়িত।

ঘটনার সঙ্গে মোল্লা শামীম নামে একজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এসেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আগে আমরা নিশ্চিত হবো তিনি কোথায় পালিয়েছেন। এছাড়া কীভাবে পালিয়েছেন; বিষয়টি তদন্তে করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে আবার জিজ্ঞাসাবাদে আনা হবে। তাদেরকে গ্রেফতার মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর ঘটনার কার কী সংশ্লিষ্টতা, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় হত্যার শিকার হন আওয়ামী লগি নেতা টিপু। এ সময় সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে ছিলেন কলেজছাত্রী প্রীতি। গুলির ঘটনায় তিনিও নিহত হন।

২৫ মার্চ স্বামীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি। সেদিন রাতেই বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে ডিবি। আকাশ সরাসরি টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।

পরে গত ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, চাঁদাবাজি ও দরপত্র নিয়ে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যার বদলা এবং বোঁচা বাবু হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

Related Posts

টিপু হত্যায় মুসা জড়িত : ডিবি

১০ জুন, ২০২২,

৪:৪৮ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

চারিদিক ডেস্ক : রাজধানীর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডে ওমান থেকে গ্রেফতার সুমন শিকদার মুসা জড়িত বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চাইবে ডিবি।

চলতি বছর ২৪ মার্চ রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন টিপু। এ ঘটনায় নিহত হন সামিয়া আফনান প্রীতি নামে এক কলেজ ছাত্রী।

শাহজাহানপুর থানায় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। শুক্রবার (১০ জুন) মুসাকে আদালেতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।

দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, এ ডাবল মার্ডারের ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেফতার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম উঠে আসে। পরে জানা যায় তিনি ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান।

এরপর তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করা হয়। সে অনুযায়ী পুলিশ সদর দপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এরমধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে চলে গেছেন।

ডিবি প্রধান বলেন, আমরা মুসাকে না পেয়ে মামলার তদন্তে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম। তবে এনসিবির মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তায় মুসাকে ওমান থেকে গ্রেফতার করে দেশে আনা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবো।

এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন তদন্তে কার দায় আছে বা নেই অথবা কাকে বাদ বা যুক্ত করা হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মুসাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আমরা মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুটার আকাশের জবানবন্দিতে মুসার নাম আসে। এছাড়া, তদন্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুসা জড়িত বলে পাওয়া গেছে। মুসাকে যেহেতু রিমান্ডে আনবো, এ মুহূর্তে সকল উত্তর দিতে পারবো না। তবে প্রাথমিকভাবে জেনেছি মুসা পরিকল্পনায় জড়িত।

ঘটনার সঙ্গে মোল্লা শামীম নামে একজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এসেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আগে আমরা নিশ্চিত হবো তিনি কোথায় পালিয়েছেন। এছাড়া কীভাবে পালিয়েছেন; বিষয়টি তদন্তে করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে আবার জিজ্ঞাসাবাদে আনা হবে। তাদেরকে গ্রেফতার মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর ঘটনার কার কী সংশ্লিষ্টতা, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় হত্যার শিকার হন আওয়ামী লগি নেতা টিপু। এ সময় সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে ছিলেন কলেজছাত্রী প্রীতি। গুলির ঘটনায় তিনিও নিহত হন।

২৫ মার্চ স্বামীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি। সেদিন রাতেই বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে ডিবি। আকাশ সরাসরি টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন।

পরে গত ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানায়, চাঁদাবাজি ও দরপত্র নিয়ে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যার বদলা এবং বোঁচা বাবু হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

Related Posts