হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) :
বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া) দুলাল ফরাজী নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়া নারী কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত কামরুজ্জামান বাচ্ছু (নৌকা) সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নিদ্রা বাজারে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া) দুলাল ফরাজীর স্ত্রী মাসুদা আক্তারের সাথে নারী কর্মী আলেয়া বেগম, ফাতেমা বেগম, মিনারা বেগম, রিনা বেগম, রহিমা বেগম, ফিরোজা বেগমসহ অন্তত ৮ থেকে ১০ জন নারী কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় নৌকা সমর্থকরা।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল ফরাজী (ঘোড়া) স্ত্রী মাসুদা আক্তার ১৫ থেকে ২০ জন নারী কর্মী নিয়ে আজ বিকেলে নিদ্রা বাজার এলাকায় ভোট চাইতে গেলে সন্ধ্যার দিকে নৌকার সমর্থক ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল যোগে এসে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নারী কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা কয়েকজন নারী কর্মীকে চর থাপ্পর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল ফরাজীর স্ত্রী মাসুদা আক্তারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্ত্রীকে উদ্ধার করে।
হামলার শিকার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল ফরাজীর স্ত্রী মাসুদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমি ১৫ থেকে ২০ জন নারী কর্মী নিয়ে আমার স্বামীর ঘোড়া প্রতিকের পক্ষে প্রচার- প্রচারনা ও ভোট চাইতে নিদ্রা বাজার এলাকায় যাই। হঠাৎ করে নৌকার সমর্থক ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেল নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় বেধড়ক পিটুনিতে আমার সাথে থাকা ৪ জন নারী কর্মীসহ ১০ থেকে ১২ আহত হয়েছে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান বাচ্ছু বলেন, সব সাজানো নাটক, সব মিথ্যা।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নারী সমর্থকদের সাথে নৌকার সমর্থকদের হাতাহাতি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।