মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, রাত ২:২৫
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪,রাত ২:২৫

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

১৬ জুন, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

৫:৫৯ pm

স্টাফ রিপোর্টার, শরণখোলা (বাগেরহাট) : নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার বায়না ধরেছিল স্কুল ছাত্রী তামান্না আক্তার (১৩)। মা-বাবা দুজনেই এতে সায় না দেওয়ায় অভিমান হয় তার। মনের কষ্টে একপর্যায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই কিশোরী। পুলিশ বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামে।

তামান্না ওই গ্রামের ইয়াসিন ফকির ও শামছুন্নাহার দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।

নিহতের স্বজন মো. কামাল হোসেন ফকির জানান, গত বুধবার তামান্নার স্কুলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা শেষে হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় সে নানাবাড়ী যাওয়ার বায়না করলে মা নিষেধ করেন। তার বাবা ইয়াসিন ফকির থাকেন ফেনীতে। সেখানে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের ঠিকাদারী কাজ করেন। মায়ের কাছে সায় না পেয়ে এর পর সে তার বাবাকে ফোন করে নানাবাড়ি যাওয়ার বিষয়টি জানায়। তিনিও (বাবা) নিষেধ করেন এবং বলেন কোরবানিতে তারা সবাই মিলে এক সাথে বেড়াতে যাবেন। এতে তার ক্ষোভ এবং কষ্ট আরো বেড়ে যায়।

পরবর্তীতে তার মা মেয়েকে বাড়িতে রেখে কেনাকাটার জন্য পার্শ্ববতী আমড়াগাছিয়া বাজারে যান। সেই ফাঁকে সকাল ১০টার দিকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। মা বাজার থেকে ফিরে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সেখান থেকে নামিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসককে খবর দেন। ওই চিকিৎসক কিশোরী মারা গেছে বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তপু বিশ্বাস জানান, নানাবাড়ি যেতে বাধা দেওয়ায় তামান্না আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি শরণখোলা থানায় জানানোর পরে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Posts

মায়ের সঙ্গে অভিমান করে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

১৬ জুন, ২০২২,

৫:৫৯ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

স্টাফ রিপোর্টার, শরণখোলা (বাগেরহাট) : নানাবাড়ি বেড়াতে যাওয়ার বায়না ধরেছিল স্কুল ছাত্রী তামান্না আক্তার (১৩)। মা-বাবা দুজনেই এতে সায় না দেওয়ায় অভিমান হয় তার। মনের কষ্টে একপর্যায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই কিশোরী। পুলিশ বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের কালিবাড়ি গ্রামে।

তামান্না ওই গ্রামের ইয়াসিন ফকির ও শামছুন্নাহার দম্পত্তির একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।

নিহতের স্বজন মো. কামাল হোসেন ফকির জানান, গত বুধবার তামান্নার স্কুলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা শেষে হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় সে নানাবাড়ী যাওয়ার বায়না করলে মা নিষেধ করেন। তার বাবা ইয়াসিন ফকির থাকেন ফেনীতে। সেখানে তিনি নির্মাণ শ্রমিকের ঠিকাদারী কাজ করেন। মায়ের কাছে সায় না পেয়ে এর পর সে তার বাবাকে ফোন করে নানাবাড়ি যাওয়ার বিষয়টি জানায়। তিনিও (বাবা) নিষেধ করেন এবং বলেন কোরবানিতে তারা সবাই মিলে এক সাথে বেড়াতে যাবেন। এতে তার ক্ষোভ এবং কষ্ট আরো বেড়ে যায়।

পরবর্তীতে তার মা মেয়েকে বাড়িতে রেখে কেনাকাটার জন্য পার্শ্ববতী আমড়াগাছিয়া বাজারে যান। সেই ফাঁকে সকাল ১০টার দিকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। মা বাজার থেকে ফিরে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হলে পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সেখান থেকে নামিয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসককে খবর দেন। ওই চিকিৎসক কিশোরী মারা গেছে বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তপু বিশ্বাস জানান, নানাবাড়ি যেতে বাধা দেওয়ায় তামান্না আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি শরণখোলা থানায় জানানোর পরে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Posts