বাগেরহাটের শরণখোলায় ধানসাগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ডালিম হোসাইন মাঝির (৩৮) ওপর মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ওই ইউনিয়নের ছুটুখার বাজারের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ডালিম মাঝি ধানসাগর ইউনিয়নের ৮নম্বর পূর্ব রাজাপুর ওয়ার্ডের পর পর দুইবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পদক। তিনি ওই গ্রামের এনায়েত হোসেন ফুলমিয়া মাঝির ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডালিম মাঝি জানান, তিনি রাত ১০টার দিকে ছুটুখার বাজারের তার নিজ বাসা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় মোড়ে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলটি থামিয়ে রুমাল দিয়ে নাকমুখ চেপে ধরে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। রুমালে চেতনানাশক কিছু একটা মেশানো ছিল। একপর্যায়ে তিনি মোটরসাইকেল ফেলে দৌঁড়ে আবার তার বাজারে বাসায় ফিরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এর পরে আর কিছুই মনে নেই তার। পরে খবর পেয়ে তার সহকর্মী কয়েকজন ইউপি সদস্য গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
হামলার কারণ হিসেবে ডালিম মাঝি জানান, তিনি ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার। যারা এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারাই এই হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন টিস্যু ব্যাগের তৈরি মুখোশ পরা ছিল। এদের মধ্যে মুখোশ ছাড়া তিনজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। এরা হলেন, স্থানীয় এয়াকুব মুন্সীর ছেলে মাসুদ মুন্সী, আনোয়ার মুন্সীর ছেলে আলম মুন্সী এবং ছত্তার হাওলাদারের ছেলে তাওহীদ। তিনি সুস্থ হয়ে এদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান।
ধানসাগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, তাদের পরিষদের ইউপি সদস্য ডালিম মাঝির ওপর হামলার খবর পেয়ে ইউপি সদস্য তপু বিশ্বাস ও হুমায়ুন করিম সুমনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। পরে রাত ১টার দিকে ছুটুখার বাজারের বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ডালিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডালিম এলাকয় মাদক, জুয়াসহ সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলায় এই হামলা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, ইউপি সদস্যের ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজ নেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।