বাগেরহাটের শরণখোলায় ব্যাটারীচালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারিয়া নামে ৯ মাসের এক শিশু মারা গেছে। আহত হয়েছেন শিশুটির মা নাসছিন বেগমসহ (৩১) আরো চার জন।
শনিবার (৩জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের রাজাপুর-আমড়াগাছিয়া সড়কের শহিদ মুন্সির বাড়ির সামনে ঘটে এই দুর্ঘটনাটি। নিহত মারিয়া মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের জুয়েল সরদারের একমাত্র সন্তান।
আহত অন্যরা হলেন উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ভ্যানচাল আ. লতিফ (৬৮), তার মেয়ে এলমা আক্তার (২৬) এবং একই গ্রামের বাদল খলিফার ছেলে মোটরসাইকেল চালক সিয়াম খলিফা (২৩)।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত শিশুটির মা নাসরিন বেগম খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। আহত অন্যদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার ও প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নাসরিন বেগম শিশু সন্তানসহ ভ্যানচালক নানা আ. লতিফের বাড়ি রাজাপুর গ্রামে বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে নানার ভ্যানেই ফিরছিলেন খোন্তাকাটা গ্রামে বাবা নজরুল হাওলাদারের বাড়িতে। ওই ভ্যানে লতিফের মেয়ে এলমাও ছিলেন। ভ্যানটি রাজাপুর থেকে ছেড়ে শহিদ মুন্সির বাড়ির সামনে এলে বিপরিত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শিশুসহ ৫ জন আহত হন।
এসময় স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। শিশু মারিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে সিটি মেডিক্যাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে রবিবার (৪জুন) ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।