মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ভোর ৫:০৪
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪,ভোর ৫:০৪

বিজয় দিনের বিকেল বেলা

সন্তোষ দাস

১২ ডিসেম্বর, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

১০:৩২ pm

সেই বিকেলটা ছিল সোনালি বিকেল, বাঁধভাঙ্গা মুক্তির বিকেল, মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের বিকেল, মুক্তিযোদ্ধা, যেীথবাহিনী আর গণমানুষের বিজয় মিছিল নিয়ে রেসকোর্স ময়দানে ছুটে চলার বিকেল। সেই বিকেলটা ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিকেল। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে গৌরবের, সবচেয়ে আবেগের একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়। ৯৩ হাজার সৈন্যের বিশাল পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাঙালি জাতির যে বিজয় তাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবদান অনস্বীকার্য।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা অবদান রাখে তাদের মধ্যে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) এবং ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ভারত আবার সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। প্রথমে তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। এক কোটি বাস্তচ্যুত মানুষকে আশ্রয় ও খাদ্য দেয়। পরবর্তীতে তারা মুক্তিবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।

অন্যদিকে বিরোধীতাকারী দেশগুলোর নেতৃত্বে ছিল চীন ও মার্কিনযুক্তরাস্ট্র। পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিনযুক্তরাস্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠায়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন অস্টম নৌবহর পাঠানোর হুমকি দিলে সপ্তম নৌবহরের গতি রুদ্ধ হয়। এমনি অনেক আর্ন্তজাতিক চাপ ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আসে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়-আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটা। যে সময়ে প্রায় ৯৩ হাজার সৈন্যের পাকিস্তানী বাহিনী তাদের সেনাপতি লেফ্ট্ন্যান্ট জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে। বিজয়ক্ষণের সেই মুহূর্তের চিত্র ফুটে উঠেছে তৎকালীন ভারতীয় বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার লেফ্ট্ন্যান্ট জেনারেল জে এফ আর জেকবের লেখা “সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা” একটি জাতির জন্ম নামের বইতে। এই মহা বিজয়ে জেনারেল জেকবেরও ছিল অসামান্য অবদান।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে এবং আত্মসমর্পণের মুহূর্তে যা ঘটেছিল তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ জে এফ জেকবের বই থেকে-

“আনুমানিক বিকেল সাড়ে চারটায় আর্মি কম্যান্ডার ও তাঁর সফরসঙ্গীরা পাঁচটি এমআই৪ (Mi4) ও চারটি হেলিকপ্টারের এক বহরে করে ঢাকায় পৌঁছান। নিয়াজি ও আমি তাঁদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে যাই। মিসেস অরোরাকে সাথে নিয়ে আর্মি কম্যান্ডার নেমে আসেন। আরো অবতরণ করেন এয়ার মার্শাল দেওয়ান (উবধিহ), ভাইস অ্যডমিরাল কৃষ্ণণ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সগত সিং, ৪র্থ কোরের ডিভিশনাল কম্যান্ডাররা ও উইং কম্যান্ডার এ কে খন্দকার। ওসমানীকে অবশ্য দেখা গেল না। নিয়াজি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা ও এয়ার মার্শাল দেওয়ান গাড়ির দিকে এগিয়ে যান। আমারও এই গাড়িতেই যাবার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু মিসেস অরোরা তাঁর স্বামীর পাশের আসন দখল করায় সেই আমাকে ছাড়তে হয়। গাড়ি রওয়ানা দিয়ে দিলে আমিও অন্য গাড়িতে ঝাঁকুনি খেতে খেতে রেসকোর্স ময়দানের দিকে যাত্রা করি।

আয়োজনের জন্য সময় খুব কম থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটি মোটামুটি ভালভাবে সম্পন্ন হয়। গার্ড অব অনার পরিদশর্দনের পর অরোরা ও নিয়াজি টেবিলের দিকে এগিয়ে যান। অরোরার নিয়ে-আসা আত্মসমর্পনের দলিল টেবিলের উপর রাখা হয়। নিয়াজি সেটার ওপরে কৌতূহলী চোখ বুলিয়ে নিয়ে সই করেন। অরোরাও সই করেন। দলিলের ওপরে সতর্ক দৃষ্টিপাত করার সময় এটার শিরোনাম লক্ষ করে আমি হতবুদ্ধি হয়ে যাই। সেখানে লেখা আছে “Instrument of Surrender-To Be Signed at 1631 Hours IST (Indian Standard Time)।”

ঘড়ির দিকে চোখ ফেলে দেখি, সময় তখন বিকেল চারটা পঞ্চান্ন মিনিট। এরপর নিয়াজি তাঁর কাঁধ থেকে এপ্যলেট (epaulette-সেনা অধিনায়কদের সম্মানসূচক ব্যাজ) ফেলেন এবং ল্যানিয়ার্ড (lanyard-ছোট দড়ি বিশেষ)-সহ ৩৮ রিভলবার অরোরার হাতে ন্যস্ত করেন। তাঁর চোখে অশ্রু দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত জনতা তখন নিয়াজিবিরোধী স্লোগান ও গালিগালাজ দিতে থাকে। রেসকোর্সের আশেপাশে তেমন কোনো সৈন্য না থাকায় নিয়াজির নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত ছিলাম। আমরা কয়েকজন সিনিয়র অফিসার মিলে নিয়াজির জন্য একটি নেষ্টনী রচনা করে তাঁকে পাহারা দিয়ে একটি ভারতীয় জিপের কাছে নিয়ে যাই। পাকিস্তানিদেরকে নিরস্ত্র করা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বন্দিদের ভারতে নিয়ে যাবার ব্যাপারে সগত সিংকে আমি ব্রিফ করি।

এর পরে আগরতলায় যাবার উদ্দেশ্যে আমরা ঢাকা বিমানবন্দরে আসি। আমরা যখন অপেক্ষা করছিলাম, তখন পাকিস্তান নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল শরিফ, যিনি আগেই আমার কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন, অ্যাডমিরাল কৃষ্ণণকে বিদায় জানাতে আসেন। শরিফকে কৃষ্ণণ পিস্তল সমর্পন করতে বললে তিনি হোলস্টার থেকে পিস্তল বের করে কৃষ্ণণের হাতে তুলে দেন। এর পরে আমাদের হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ে।”

লেখক : সন্তোষ দাস
প্রভাষক, সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ
ফকিরহাট, বাগেরহাট
ই-মেইল : santoshlipi71@gmail.com

Related Posts

বিজয় দিনের বিকেল বেলা

সন্তোষ দাস

১২ ডিসেম্বর, ২০২২,

১০:৩২ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

সেই বিকেলটা ছিল সোনালি বিকেল, বাঁধভাঙ্গা মুক্তির বিকেল, মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের বিকেল, মুক্তিযোদ্ধা, যেীথবাহিনী আর গণমানুষের বিজয় মিছিল নিয়ে রেসকোর্স ময়দানে ছুটে চলার বিকেল। সেই বিকেলটা ছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিকেল। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে গৌরবের, সবচেয়ে আবেগের একটি দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়। ৯৩ হাজার সৈন্যের বিশাল পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয়। ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার প্রাণ আর ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাঙালি জাতির যে বিজয় তাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবদান অনস্বীকার্য।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যারা অবদান রাখে তাদের মধ্যে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) এবং ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ভারত আবার সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। প্রথমে তারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে। এক কোটি বাস্তচ্যুত মানুষকে আশ্রয় ও খাদ্য দেয়। পরবর্তীতে তারা মুক্তিবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।

অন্যদিকে বিরোধীতাকারী দেশগুলোর নেতৃত্বে ছিল চীন ও মার্কিনযুক্তরাস্ট্র। পাকিস্তানের পক্ষে মার্কিনযুক্তরাস্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠায়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন অস্টম নৌবহর পাঠানোর হুমকি দিলে সপ্তম নৌবহরের গতি রুদ্ধ হয়। এমনি অনেক আর্ন্তজাতিক চাপ ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আসে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়-আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটা। যে সময়ে প্রায় ৯৩ হাজার সৈন্যের পাকিস্তানী বাহিনী তাদের সেনাপতি লেফ্ট্ন্যান্ট জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে। বিজয়ক্ষণের সেই মুহূর্তের চিত্র ফুটে উঠেছে তৎকালীন ভারতীয় বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার লেফ্ট্ন্যান্ট জেনারেল জে এফ আর জেকবের লেখা “সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা” একটি জাতির জন্ম নামের বইতে। এই মহা বিজয়ে জেনারেল জেকবেরও ছিল অসামান্য অবদান।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণকে কেন্দ্র করে এবং আত্মসমর্পণের মুহূর্তে যা ঘটেছিল তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ জে এফ জেকবের বই থেকে-

“আনুমানিক বিকেল সাড়ে চারটায় আর্মি কম্যান্ডার ও তাঁর সফরসঙ্গীরা পাঁচটি এমআই৪ (Mi4) ও চারটি হেলিকপ্টারের এক বহরে করে ঢাকায় পৌঁছান। নিয়াজি ও আমি তাঁদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে যাই। মিসেস অরোরাকে সাথে নিয়ে আর্মি কম্যান্ডার নেমে আসেন। আরো অবতরণ করেন এয়ার মার্শাল দেওয়ান (উবধিহ), ভাইস অ্যডমিরাল কৃষ্ণণ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সগত সিং, ৪র্থ কোরের ডিভিশনাল কম্যান্ডাররা ও উইং কম্যান্ডার এ কে খন্দকার। ওসমানীকে অবশ্য দেখা গেল না। নিয়াজি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অরোরা ও এয়ার মার্শাল দেওয়ান গাড়ির দিকে এগিয়ে যান। আমারও এই গাড়িতেই যাবার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু মিসেস অরোরা তাঁর স্বামীর পাশের আসন দখল করায় সেই আমাকে ছাড়তে হয়। গাড়ি রওয়ানা দিয়ে দিলে আমিও অন্য গাড়িতে ঝাঁকুনি খেতে খেতে রেসকোর্স ময়দানের দিকে যাত্রা করি।

আয়োজনের জন্য সময় খুব কম থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটি মোটামুটি ভালভাবে সম্পন্ন হয়। গার্ড অব অনার পরিদশর্দনের পর অরোরা ও নিয়াজি টেবিলের দিকে এগিয়ে যান। অরোরার নিয়ে-আসা আত্মসমর্পনের দলিল টেবিলের উপর রাখা হয়। নিয়াজি সেটার ওপরে কৌতূহলী চোখ বুলিয়ে নিয়ে সই করেন। অরোরাও সই করেন। দলিলের ওপরে সতর্ক দৃষ্টিপাত করার সময় এটার শিরোনাম লক্ষ করে আমি হতবুদ্ধি হয়ে যাই। সেখানে লেখা আছে “Instrument of Surrender-To Be Signed at 1631 Hours IST (Indian Standard Time)।”

ঘড়ির দিকে চোখ ফেলে দেখি, সময় তখন বিকেল চারটা পঞ্চান্ন মিনিট। এরপর নিয়াজি তাঁর কাঁধ থেকে এপ্যলেট (epaulette-সেনা অধিনায়কদের সম্মানসূচক ব্যাজ) ফেলেন এবং ল্যানিয়ার্ড (lanyard-ছোট দড়ি বিশেষ)-সহ ৩৮ রিভলবার অরোরার হাতে ন্যস্ত করেন। তাঁর চোখে অশ্রু দেখা যাচ্ছিল। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত জনতা তখন নিয়াজিবিরোধী স্লোগান ও গালিগালাজ দিতে থাকে। রেসকোর্সের আশেপাশে তেমন কোনো সৈন্য না থাকায় নিয়াজির নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত ছিলাম। আমরা কয়েকজন সিনিয়র অফিসার মিলে নিয়াজির জন্য একটি নেষ্টনী রচনা করে তাঁকে পাহারা দিয়ে একটি ভারতীয় জিপের কাছে নিয়ে যাই। পাকিস্তানিদেরকে নিরস্ত্র করা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং বন্দিদের ভারতে নিয়ে যাবার ব্যাপারে সগত সিংকে আমি ব্রিফ করি।

এর পরে আগরতলায় যাবার উদ্দেশ্যে আমরা ঢাকা বিমানবন্দরে আসি। আমরা যখন অপেক্ষা করছিলাম, তখন পাকিস্তান নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল শরিফ, যিনি আগেই আমার কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন, অ্যাডমিরাল কৃষ্ণণকে বিদায় জানাতে আসেন। শরিফকে কৃষ্ণণ পিস্তল সমর্পন করতে বললে তিনি হোলস্টার থেকে পিস্তল বের করে কৃষ্ণণের হাতে তুলে দেন। এর পরে আমাদের হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ে।”

লেখক : সন্তোষ দাস
প্রভাষক, সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ
ফকিরহাট, বাগেরহাট
ই-মেইল : santoshlipi71@gmail.com

Related Posts