সকালে বাবার মোটরসাইকেলে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল তাবাচ্ছুম। পথে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোটরসাইকেলটির। ধাক্কায় পেছন থেকে ছিটকে পিচঢালা রাস্তায় পড়ে যায় মেয়েটি। প্রচন্ড আঘাত লাগে মাথায়। গুরুতর অবস্থায় খুলন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেল পাঁচটার দিকে মারা যায় তাবাচ্ছুম।
তাবাচ্ছুম আক্তার (১৪) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনয়িনের খুড়িয়াখালী গ্রামের আব্বাস গাজীর মেয়ে। সে ওই ইউনিয়নের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। রোববার (১৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের কাছাকাছি এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, তাবাচ্ছুমকে প্রতিদিন তার বাবা মোটসাইকেলে বিদ্যালয়ে দিয়ে যেতেন। আজও তাকে নিয়ে আসার পথে ইজিবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে’।
প্রধান শিক্ষক বলেন,’প্রথমে তাবাচ্ছুমকে শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। তাবাচ্ছুমের মৃত্যুতে সহপাঠী, শিক্ষক ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে’।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত পৌনে ৯টা) খুলনা মেডিক্যাল থেকে তাবুচ্ছুমের মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, মোটরসাইকেল-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রী মৃত্যুর খবর শুনেছি। এব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।