‘বন্ধুর কল্যাণে বন্ধুরাই’ এই স্লোগানে যশোরের বাঘারপাড়ার খাজুরা অঞ্চলের এসএসসি ১৯৮৯-৯০ ব্যাচের বন্ধুদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন উপজেলার মির্জাপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের শামস্-উল-হুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উৎসব ও আনন্দঘন এই পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, শিক্ষক সংবর্ধনা, প্রয়াত শিক্ষক ও বন্ধুদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রায় ৩০ বছর পর বন্ধুদের সঙ্গে একত্রিত হতে পেরে সবার চোখেমুখে ছিল অতীতকে ছুঁয়ে দেখার উচ্ছ্বাস। পুরানো বন্ধুত্বকে নুতন করে ক্যামেরাবন্দী করতে সবাই ছিল ব্যস্ত। একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন গড়ে তোলেন।
আয়োজক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ন কবির বলেন, আমরা ৮৯-৯০ ব্যাচের বন্ধুদের সমবেত করার চেষ্টা করেছি। কাজটা মোটেও সহজ ছিলো না। দেড় শতাধিক বন্ধু পুর্নমিলনীতে অংশ নিয়েছেন। আজ থেকে আমরা শপথ নিবো! যতদিন বেঁচে থাকবো বন্ধুদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।’
৯০ ব্যাচের পরিচিত প্রিয়মুখ আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী তরিকুল ইসলাম ও শাহজাহান সাজু। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, ৯০ ব্যাচের বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী ও মির্জাপুর কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম।
এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর চলে পরিচিতি পর্ব। বেলা সাড়ে ১১টায় সুসজ্জিত মঞ্চে খাজুরা এমএনমিত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এম এ জলিল, সহকারি শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, রুহুল কুদ্দুস, আছাদুজ্জামান ও বজলুর রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গানসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় সব বন্ধুরা। গানের সঙ্গে চলল নাচ। সবার বয়স যেন ৩০ বছর কমে গিয়েছিল।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথেই বাড়ি ফেরার পালা। বন্ধুরা মিলে গেয়ে চলেছে, ‘পুরানো সেই দিনে কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সে চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়…।’