বাগেরহাটের শরণখোলায় পরিবেশ বিধ্বংসী একটি বোরিং ড্রেজার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল নিষিদ্ধ ওই ড্রেজার দিয়ে। এতে আশপাশের বেশ কয়েকটি বসত ও বাগানবাড়ি হুমকির মুখে পড়ে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেজারটি জব্দ করে ধ্বংস করে দেন।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার মালিক সুমন শরীফ হোগলপাতি গ্রামের লিটন পঞ্চায়েতের বাড়ি ভরাটের জন্য সরকারি খালে ড্রেজার স্থাপন করে বালু উত্তোলন করেন। ৩/৪ দিন ধরে ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলনের ফলে খালের দুই পারের কয়েকটি বসত ও বাগান বাড়ি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। ড্রেজারের প্রচন্ড শব্দ আর কম্পনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগীরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শক্তিশালী শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি এই বোরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ড্রেজার দিয়ে কম্পন সৃষ্টি করে মাটির গভীরে পাইপ ঢুকিয়ে সেখান থেকে বালু তোলা হয়। কম্পনের মাধ্যমে বালু তোলার ফলে মাটির তলদেশ ফাঁকা হয়ে যায়। ধীরে ধীরে আশপাশ দেবে যেতে থাকে। একারণে স্থানীয় ভাষায় এই বোরিং ড্রেজারকে আত্মঘাতি ড্রেজার বলা হয়।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, নিষিদ্ধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় সেটি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ড্রেজার মালিককে পাওয়া যায়নি। বোরিং ড্রেজার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলেও উল্লেখ করেন উপজেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।