প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যশোর জনসভা ঘিরে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। জনসভা সফল করতে জেলার আট উপজেলা, আট পৌরসভা ও ৯৩ ইউনিয়নে গণসংযোগ করছেন নেতারা। যশোর স্টেডিয়ামে এ জনসভায় ৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছে জেলা আওয়ামী লীগ। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে ৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে ডিজিটাল প্রচারণায় নজর কেড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চৌগাছা-ঝিকরগাছা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির। ফেসবুক লাইভে তার সরব উপস্থিতি তরুণ সমাজকে বেশ আকৃষ্ট করেছে। সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। সদর উপজেলাসহ ঝিকরগাছা ও চৌগাছার বিভিন্ন স্থানে তিনি গণসংযোগ করছেন। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তার সময়কালে (২০১৪-১৮) সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছেন।
১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই মাঠে ৫০ বছর পর ২৪ নভেম্বর ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। জনসভা সফল করতে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রতিটি ইউনিট কাজ করছে।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রচারসভা ও লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছি।’
সাবেক সাংসদ অ্যাড. মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আমি দুই উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছি। অসংখ্য কাচা রাস্তা পাকা, অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় ভবন দিয়েছি। একাধিক প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেছি। শত শত কোটি টাকার এসব উন্নয়নস্থলে গিয়ে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সকলকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করছি।’