গায়ানায় অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৫ উইকেটে হারল সফররত বাংলাদেশ দল। আর তাতেই টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হারল টাইগাররা্ ম্যাচের শুরুতে খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানে টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আসেনি ফলাফল। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রানে জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। তাই তিন ম্যাচের এই সিরিজে বাংলাদেশের জন্য সিরিজ জেতার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। মূলত তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করার লক্ষ্যে এদিন মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের দলনেতা মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদ। ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস ও এনামুল হক বিজয়। কিন্তু ওপেনিং জুটিতে বেশি রান তুলতে পারেননি তারা। ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-আফিফ মিলে তুলেন ৫৭ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতকরে পথেই হাঁটছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। কিন্তু মাত্র এক রানের আক্ষেপ থেকে যায় টাইগার উইকেটকিপার এই ব্যাটারের। আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৪৯ রানে। ৪১ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি তিনটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে আফিফ। কিন্তু ওয়ালশকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন রিয়াদ। ২০ বলে করেছেন ২২ রান। তাতেই ৩৫ বলে ৪৯ রানের জুটি। পরের বলেই ফিফটির দেখা পান আফিফ। এরপরেই রানআউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। পরে মোসাদ্দেক-সোহান মিলে ইনিংস শেষ করেন। ১০ রানে মোসাদ্দেক ও ২ রানে সোহান অপরাজিত থাকেন।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন হেইডেন ওয়ালশ। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন ওডিয়েন স্মিথ ও রোমারিও শেফার্ড।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশি স্পিনারদের বল খেলতেই পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। সপ্তম ওভারের মাথায় হারিয়ে বসে প্রথম তিন ব্যাটারকে। ইনিংসের প্রথম ওভারে নাসুম আহমেদের করা বলে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। চতুর্থ ওভারে শেখ মেহেদি হাসানের বলে ১২ রানে আউট হন শামারাহ ব্রকস। আর ওডিয়েন স্মিথের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২ রান।
৪৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স ও দলনেতা নিকোলাস পুরান। এ সময় দুজন মিলে তুলেন ৮৫ রান। ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করার পর ৫৫ রানে আউট হন মেয়ার্স। ৩৮ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ২টি চার ও পাঁচটি ছয়ে সাজানো। এদিকে রোভম্যান পাওয়েল আউট হয়েছেন ৫ রানে।
এরপর আকিল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন দলনেতা নিকোলাস পুরান। ফিফটি পূরণের পর ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন পুরান। মাত্র ৩৯ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসপি পাঁচটি করে চার ও ছয়ে সাজানো। আর ৩ রানে অপরাজিত থাকেন আকিল।