মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, রাত ২:১৮
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪,রাত ২:১৮

জামানতের টাকা নিয়ে উধাও ‘জিসি ফাউন্ডেশন’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

৭ জুলাই, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

১১:৫৬ pm

ঝিনাইদহে চাকরি দেওয়ার নামে শতাধিক বেকারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ‘জিসি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। অফিস ফেলে পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ন করিব। লাপাত্তা সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও। টাকা ও ২ মাসের বেতনের জন্য অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ২৪ মে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় জিসি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ। এরিয়া ম্যানেজার, ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, মাঠ কর্মীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয় শতাধিক বেকার যুবক-যুবতীকে। জামানত বাবদ তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নিয়োগকৃতদের দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। আশ্বাস দেওয়া হয় পদ অনুযায়ী ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন।

বৃহস্পতিবার সকালে গত ২ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল জিসি ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সকালে পোড়াহাটি গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এসে দেখেন অফিস ফাঁকা। পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ূন কবির, পরিদর্শক আনিচুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। জামানত আর বেতন-বোনাসের জন্য সকাল থেকে বিকাল অব্দি বসে থাকলেও খোঁজ মেলেনি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তার।

সাবরিনা আক্তার শোভা জানান, জিসি ফাউন্ডেশন হিসাবরক্ষক পদে চাকরি নিতে ৮ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে টাকা এনে দিয়েছি শুধু চাকরির জন্য। প্রায় ৩ মাস চাকরি করেছি কোন বেতন দেয়নি।  আজ ঈদে একবারে বেতন বোনাস দেবে এই আশ্বাস দিলেও তা না দিয়ে পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ুন কবির।

রুবেল হোসেন বলেন, চাকরি করতে হলে জামানত দেওয়া লাগবে তাই ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। এক মাসের বেতনও পাই নাই। আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জিসি ফাউন্ডেশনের এই প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল সামি বলেন, জিসি ফাউন্ডেশন নামে  এমন কোন এনজিও’র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যদি কেউ প্রতারনার স্বীকার হয় তারা আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সহযোগীতা করবো।

Related Posts

জামানতের টাকা নিয়ে উধাও ‘জিসি ফাউন্ডেশন’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

৭ জুলাই, ২০২২,

১১:৫৬ pm

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

ঝিনাইদহে চাকরি দেওয়ার নামে শতাধিক বেকারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ‘জিসি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। অফিস ফেলে পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ন করিব। লাপাত্তা সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও। টাকা ও ২ মাসের বেতনের জন্য অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানায়, গত ২৪ মে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় জিসি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ। এরিয়া ম্যানেজার, ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, মাঠ কর্মীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয় শতাধিক বেকার যুবক-যুবতীকে। জামানত বাবদ তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নিয়োগকৃতদের দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। আশ্বাস দেওয়া হয় পদ অনুযায়ী ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন।

বৃহস্পতিবার সকালে গত ২ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল জিসি ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সকালে পোড়াহাটি গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এসে দেখেন অফিস ফাঁকা। পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ূন কবির, পরিদর্শক আনিচুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। জামানত আর বেতন-বোনাসের জন্য সকাল থেকে বিকাল অব্দি বসে থাকলেও খোঁজ মেলেনি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তার।

সাবরিনা আক্তার শোভা জানান, জিসি ফাউন্ডেশন হিসাবরক্ষক পদে চাকরি নিতে ৮ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে টাকা এনে দিয়েছি শুধু চাকরির জন্য। প্রায় ৩ মাস চাকরি করেছি কোন বেতন দেয়নি।  আজ ঈদে একবারে বেতন বোনাস দেবে এই আশ্বাস দিলেও তা না দিয়ে পালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ুন কবির।

রুবেল হোসেন বলেন, চাকরি করতে হলে জামানত দেওয়া লাগবে তাই ৭ হাজার টাকা দিয়েছি। এক মাসের বেতনও পাই নাই। আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জিসি ফাউন্ডেশনের এই প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল সামি বলেন, জিসি ফাউন্ডেশন নামে  এমন কোন এনজিও’র অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যদি কেউ প্রতারনার স্বীকার হয় তারা আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সহযোগীতা করবো।

Related Posts