চ্যারিটি ফোরামের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ৮৮’ ফরিদপুর জেলা প্যানেলে উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।আজ রোববার শহরের প্রাণকেন্দ্র ঝিলটুলী পুলিশ সুপার মাকের্টের সামনে শতাধিক শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, এই গ্রুপটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা, মানবিক ও খেলাধুলা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও প্রতি বছর রোজা ও কোরবানি ঈদে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে পোশাক সামগ্রী বিতরণ করে আসছে।
কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মিডিয়া ফোরামের প্রধান চিন্ময় কর, পদ্মা বিভাগীয় সমন্বয়ক সুমন খান, জেলা সমন্বয়ক খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন, জেলা সহ সমন্বয়ক শাহ্ মোহাম্মাদ বাছিত টিপু, জেলা সমন্বয়ক অর্চনা দাস, মাহমুদ সিদ্দিকী, পলাশ, মানবতাকর্মী কবি আলিম আল রাজি আজাদ, দোলা সাহা, মাহফুজা মুক্তা, মাজেদুল হক লিটু প্রমুখ।
পদ্মা বিভাগীয় সমন্বয়ক সুমন খান, জেলা সমন্বয়ক খন্দকার রেজাউর রহমান চয়ন, জেলা সহ সমন্বয়ক শাহ্ মোহাম্মাদ বাছিত টিপু বলেন, ‘গত মহামারি করোনাতে বন্ধুদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবস্থা করেছি। রমজানে দুঃস্থ বন্ধুদের যাকাত দিয়েছি। ঈদে গরীবদের জন্য চাল, ডাল, চিনি, ময়দা, সেমাই, মুরগি তেল বিতরণ করেছি। অসুস্থ এক বন্ধুর ওপেন হার্ট এর জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছি। গত শীতেও কম্বল বিতরণ করেছি। বৃক্ষরোপণ, ডায়বেটিকস দিবসে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প এর ব্যবস্থা করেছি। এই শীতে অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি। আগামী জানুয়ারী ৬ তারিখে বৃহৎ আকারে সকল বন্ধুদের নিয়ে মিলন মেলার অনুষ্ঠান করবো ইনশাল্লাহ। উদ্দেশ্য হলো দেশের সব এসএসসি ৮৮’র সকল বন্ধুদের একত্রিত করা ও একে অপরকে সহযোগিতা করে বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজে অংশ গ্রহণ করা।’
মূলত ৮৮’ সকল সদস্যরাই এই ইভেন্টগুলোতে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। শুধু বাংলাদেশ নয়; ইউরোপ, আমেরিকা, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কানাডাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৮৮’ বন্ধুরাই এই গ্রুপের শক্তি। এই শক্তি নিয়েই আমারা আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে চাই বলে জানান শাহ্ মোহাম্মাদ বাছিত টিপু।
ফুটপাত, রাস্তা দোকান কিংবা যাত্রী ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়া আমেনা বেগম বলেন, ‘আমি এক অসহায় নারী। উপার্জনের মতো আমার কেউ নেই। কোন দিন খাই, কোন দিন না খেয়ে পড়ে থাকি। আমি আপনাদের কম্বল পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। খাই না খাই রাতে একটু আরাম করে ঘুমাতে পারব। আল্লাহ্ তোমাদের সকলকে মঙ্গল করুক।’