মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, রাত ১২:২৬
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪,রাত ১২:২৬

কোমল পানীয় নাকি বোরহানি ভালো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০২২,

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ঈদুল আজহার এই সময়ে তুলনামূলক একটু বেশি মাংস খাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে খাবার টেবিলে থাকে বিরিয়ানি, পোলাওসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি খাবার। এসব খেয়ে হজমশক্তি বাড়াতে বা পেটের অস্বস্তি দূর করতে অনেকে কোমল পানীয় বা বোরহানি পান করেন। এখন প্রশ্ন হলো এর মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

এ বিষয়ে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ ডা. জাহানারা আক্তার সুমি।

এই পুষ্টিবিদের ভাষ্য অনুযায়ী তুলনায় বোরহানি ভালো। কারণ জানতে চাইলে সুমি বলেন, ‘এ জন্য প্রথমেই দেখতে হবে বোরহানি এবং কোমল পানীয় তৈরিতে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করা হয়। তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কোমল পানীয় হলো কার্বনেটেড ওয়াটার। এটি বানাতে প্রয়োজন হয় উচ্চ ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ বা সুক্রোজ, ফসফরিক এসিড, কেরামেল কালার, বিভিন্ন রকম ফ্লেভার আর কেফেইন। অন্যদিকে বোরহানি তৈরিতে প্রয়োজন টক দই, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, কাঁচা মরিচ, গোল মরিচের গুরা,  অল্প পরিমাণ চিনি। এসব উপাদান সাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।’

রিচ ফুড খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান করলে তাৎক্ষণিক এক ধরনের আরাম অনুভূত হয় পাকস্থলীতে। কিন্তু খুব বেশি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত নয় উল্লেখ করে এই পুষ্টিবিদ বলেন, ‘কোমল পানীয় তৈরির উপাদান ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনির রোগ, ওজনাধিক্য ছাড়াও আরও বিভিন্ন রোগ প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত পান করলে ক্ষুধামন্দা, খাবারের অরুচি এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।’

‘বোরহানির উপাদানে ক্যালসিয়াম, আমিষ, আয়রন, ভিটামিন-সি ও অন্যান্য ক্ষণিজ লবণ ও অন্যান্য ভিটামিন যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং বমি ভাব দূর করে। বোরহানি হাড়ের সাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে বলেও জানান জাহানারা আক্তার সুমি। তবে বোরহানি ঘরে বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Related Posts

কোমল পানীয় নাকি বোরহানি ভালো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০২২,

১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp

ঈদুল আজহার এই সময়ে তুলনামূলক একটু বেশি মাংস খাওয়া হয়। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে খাবার টেবিলে থাকে বিরিয়ানি, পোলাওসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি খাবার। এসব খেয়ে হজমশক্তি বাড়াতে বা পেটের অস্বস্তি দূর করতে অনেকে কোমল পানীয় বা বোরহানি পান করেন। এখন প্রশ্ন হলো এর মধ্যে কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?

এ বিষয়ে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ ডা. জাহানারা আক্তার সুমি।

এই পুষ্টিবিদের ভাষ্য অনুযায়ী তুলনায় বোরহানি ভালো। কারণ জানতে চাইলে সুমি বলেন, ‘এ জন্য প্রথমেই দেখতে হবে বোরহানি এবং কোমল পানীয় তৈরিতে কোন কোন উপাদান ব্যবহার করা হয়। তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কোমল পানীয় হলো কার্বনেটেড ওয়াটার। এটি বানাতে প্রয়োজন হয় উচ্চ ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ বা সুক্রোজ, ফসফরিক এসিড, কেরামেল কালার, বিভিন্ন রকম ফ্লেভার আর কেফেইন। অন্যদিকে বোরহানি তৈরিতে প্রয়োজন টক দই, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, কাঁচা মরিচ, গোল মরিচের গুরা,  অল্প পরিমাণ চিনি। এসব উপাদান সাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।’

রিচ ফুড খাওয়ার পর কোমল পানীয় পান করলে তাৎক্ষণিক এক ধরনের আরাম অনুভূত হয় পাকস্থলীতে। কিন্তু খুব বেশি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত নয় উল্লেখ করে এই পুষ্টিবিদ বলেন, ‘কোমল পানীয় তৈরির উপাদান ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনির রোগ, ওজনাধিক্য ছাড়াও আরও বিভিন্ন রোগ প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত পান করলে ক্ষুধামন্দা, খাবারের অরুচি এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।’

‘বোরহানির উপাদানে ক্যালসিয়াম, আমিষ, আয়রন, ভিটামিন-সি ও অন্যান্য ক্ষণিজ লবণ ও অন্যান্য ভিটামিন যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং বমি ভাব দূর করে। বোরহানি হাড়ের সাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে বলেও জানান জাহানারা আক্তার সুমি। তবে বোরহানি ঘরে বানিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Related Posts