রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
রোববার (১০ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
প্রধান জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক অংশ নিয়েছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর পর গত রোজার ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাতও জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ, সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা এতে অংশ নেন।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসতে থাকেন। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন ও সুপ্রিম কোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কঠোর নজরদারি ছিল। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারীর নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা ছিল। প্রধান জামাতের জন্য প্রায় ৩০ হাজার বর্গমিটারের ঈদগাহ ময়দানে প্রায় ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়।