ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই.সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট গণনা শেষে রাত ৯টায় ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকে ৪৯৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৩৬৬০ ভোট পেয়েছেন। অপরদুই প্রার্থী একেএম আহাদুল হাসান জগ প্রতীকে ২০৯৬, মুন্সি মাহাবুব মোবাইল ফোন প্রতীকে ১২৯ ভোট পেয়েছেন।এ পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পৌরসভায় ১৩ হাজার ৮৪৯জন ভোটারের মধ্যে ১০৮২৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
অপরদিকে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন বুলবুল ১৯৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে মো. মনিরুজ্জামান মাসুদ মাস্টার ১৮৪৬ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে বুড়াইচ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকে আব্দুল ওহাব মিয়া পান্নু ৩৯৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আলীম খান ৩১৮৩ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া গোপালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে মো. সাইফুল ইসলাম ৫২৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইনামুল হাসান ২৬৭১ ভোট পেয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, পৌরসভায় স্বতন্ত্র নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. আলী আকসাদ, বুড়াইচ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওহাব মিয়া পান্নু, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহরাব হোসেন বুলবুল ও গোপালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে মো. সাইফুল ইসলাম বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।