বরগুনার আমতলীতে কোর্টের আদেশ অমান্য করে রাতের আধারে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের খাকদান গ্রামের কালে খার পুত্র শহিদুল ইসলামের সাথে একই এলাকার মৃত ইউনুচ হাওলাদারের পুত্র সেলিম হাওলাদার ও মৃত মানির হাওলাদারের পুত্র হানিফ হাওলাদারের সাথে মৌজা ১৬নং খাকদান, এসএ খতিয়ান নং-১৫৩, জমির পরিমাণ ২.৯৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধীয় জমি ক্রয় সূত্রে শহিদুল ইসলামের পিতা কালে খা মালিক হন। পিতার মালিকানায় ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমি শহিদুল ইসলাম মালিক হয়ে ভোগদখল করে আসছে। সেলিম হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার একই জমি তাদের দাবি করে জমি দখল নেওয়ার পায়তারা চালায়। এ নিয়ে শহিদুল ইসলামের বাদী হয়ে সেলিম হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদারকে বিবাধী করে গত ২৭ জুন আমতলী উপজেলা নির্বাহী আদালতে ফৌজঃ কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উভয় পক্ষকে তফসিল বর্ণিত সম্পতিতে শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখাসহ স্থীতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয়পক্ষকে নির্দেশ প্রদান করে লিখিত নোটিশ জারি করেন। আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ সেলিম হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার উক্ত বিরোধপূর্ণ জমিতে সোমবার (০৪ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে একটি ঘর উত্তোলন করেছেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বাদী শহিদুল ইসলাম বিরোধপূর্ণ জমিতে গিয়ে ঘর দেখতে পেয়ে আমতলী থানা পুলিশকে জানায়।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে গভীর রাতে সেলিম হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার এখটি ঘর উত্তোলন করেছেন।
মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম বলেন, কোর্টের আদেশ অমান্য করে সেলিম হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার গভীর রাতে তুলেছে।
বিবাদী সেলিম হাওলাদার বলেন, আমাদের ভোগ দখলীয় ওই জমিতে আমরা ঘর উঠিয়েছি।
আমতলী থানার এসআই ইউনুচ আলী ফকির নোটিশ জারির কথা স্বীকার করে বলেন, বিবাদীরা বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর উত্তোলন করেছেন যা বাদী পক্ষ আমাকে জানিয়েছেন। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।