নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গোপনে হরিণ শিকারের সময় সুন্দরবন থেকে তিন জন শিকারীকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। আটককৃতদের রোববার (২জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১ জুলাই) রাতে পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্যের শুকপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয় ওই শিকারীদের। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু রান্না করা হরিণের মাংস, ২৫০ ফুট হরিণ ধরা ফাঁদ ও একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
আটক শিকারীরা হলেন, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার সুপখালি গ্রামের ওয়াজেদ মিয়ার তালুকদারের ছেলে হানিফ তালুকদার, পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের হাবিব চাপরাসির ছেলে নিজাম চাপরাসি এবং একই গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে মিরাজ।
বনবিভাগ জানিয়েছে, অভিযানকালে রাসেল ও সগির নামে শিকারিচক্রের দুই সদস্য বনের মধ্যে পালিয়ে গেছে। এছাড়া, আনিস মোল্লা নামে তাদের এক সহযোগী শিকার করা হরিণের মাংস নিয়ে অভিযানের আগেই ঘটনাস্থল ত্যাগ কেরেছে। যার ফলে তাকে আটক ও শিকার করা মংস জব্দ করা সম্ভব হয়নি।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. মাহাবুব হাসান জানান, কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীরা হরিণ শিকারের গোপন সংবাদ পেয়ে রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১০টার দিকে শুকপাড়া এলাকার বনে অভিযান চালায়। এসময় শুকপাড়া খালের মধ্যে একটি ট্রলার দেখে এগিয়ে গেলে বনরক্ষীদের দেখে দুই শিকারী লাফিয়ে বনে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলার থেকে তিন জনকে আটক এবং রান্না করা বেশকিছু হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। আটক শিকারীদের তথ্যমতে বনের মধ্যে পেতে রাখা হরিণ ধরা ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসিএফ জানান, আটক শিকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে রোববার (২জুলাই) দুপুরে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিকারীদের অপতৎপরতারোধে বন বিভাগের টহল আরো জোরদার করা হয়।