নবম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে অপহরণের ১ মাস ৮ দিন পরেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে বাবা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আনিসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, উপজেলার সাহেববাড়ি কালামপুর গ্রামের জাকির হোসেন হাওলাদারের ছেলে সোহান, জাকির, নাজমা, আলী হোসেন ও সালমা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা ও বাদী একই বংশের লোক। আসামি সোহান ঢাকা থাকলেও মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে বাদীর মেয়েকে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করে। বাদীর মেয়ে বিষয়টি তার মা বাবাকে জানালে সোহান আরও বেপরোয়া উঠে। উত্ত্যক্তের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মামলার বাদী বিষয়টি আসামি সোহানের মা বাবাকে জানালে সোহান এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। এরপর গত ৩১ মে সকাল অনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে ভিকটিম ওই স্কুল ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে আসামিরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
বাদী বলেন, আমি বার বার আসামি সোহানের বাবা মায়ের কাছে গিয়ে আমার নাবালক মেয়েকে ফেরৎ চেয়েছি। তারা আমাকে মেয়ে ফেরৎ দিবে বলে জানায়। কিন্তু বারবার ওয়াদা দিয়েও মেয়েকে ফেরৎ দেয়নি। এরপর গত ১৫ জুন আমার নাবালিকা মেয়ে তার মাকে ফোন করে জানায় সোহান তাকে একটি বাসায় আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। মেয়েকে বাসার বাইরে বের হতে দেয় না। এরপর ফোন কেটে দেয়। আমি মান সম্মানের কথা চিন্তা করে মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকি। কোথাও না পেয়ে গত ৩ জুন আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানার ডিউটি অফিসার মামলা না নিয়ে সাধারণ ডাইরি করতে বলেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। বাদীর সঠিক কথা বলেননি।