বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি বাগানবাড়ির শতাধিক সুপারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জমি দখলে নিতে না পেরে প্রতিপক্ষের কালাম ফরাজী ও জাকির আকনসহ ১০-১২ জন লোক ওই বাড়িতে গিয়ে দা-কুড়াল দিয়ে ফল ধরা শতাধিক সুপারি গাছ কেটে আক্রোশ মেটান।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের মোসলেম আকনের বাড়িতে ঘটে এ ঘটনা। দীর্ঘ বছর ধরে লালিত ফলন আসা এতোগুলো সুপারি কেটে ফেলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গৃহকর্তা মোসলেম আকন ও তার পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত মোসলেম আকন জানান, তিনি প্রায় ৪০ বছর আগে একই গ্রামের নুরু মিয়া ফরাজির কাছ থেকে ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই থেকে জমিতে সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়ে তা ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু দীর্ঘ বছর পর এসে জমিদাতার ছেলে কালাম ফরাজি (৪৫) এই জমি তাদের দাবি করেন। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়। সালিসে তারা জমি পাবেন না বলে রায় দেওয়া হয়।
মোসলেম আকনের ছেলে শহিদুল আকন বলেন, প্রতিপক্ষ কালাম ফরাজি ও জমির আরেক দাবিদার (পূর্বের মালিক) আবুল হাশেম আকনের ছেলে জাকির আকন (৪৫) একাধিকবার সালিসে হেরে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে তারা জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে আমার বাবার (মোসলেম আকন) কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সেই চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তারা গাছ কেটে প্রতিশোধ নেন। গাছ কাটায় বাধা দিতে গেলে তাদের হাতে থাকা দা-কুড়াল নিয়ে হত্যার উদ্দেশে আমাদের দিকে তেড়ে আসেন। তারা যে কোনো সময় আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার আতঙ্কে আছি আমরা।
এব্যাপারে প্রতিপক্ষ কালাম ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই জমি আমাদের। গাছ কেটে আমরা সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করবো।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।