হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল ১৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ জুন) আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যান্তরে উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দিবাগত গভীর রাতে কোন এক সময় অফিসের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে অফিস কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করে। এ সময় চোরের দল রুমের দরজার তালা ও ষ্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে ৩টি মনিটর, ৪টি সিপিইউ, ১টি ট্যাব, ১টি গ্যাস সিলিন্ডার ও নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর শুক্রবার রাতে আমতলী থানার এসআই সজিব মন্ডলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণীর স্টাফ কোয়ার্টারে অভিযান পরিচালনা করে চুরির মূলহোতা ও ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নৌশ প্রহরী নুরুল ইসলামের পুত্র সাগর (৩৫) আটক করে। এ সময় আটক সাগরের রুম (বাসা) তল্লাশী করে ওই অফিস থেকে চুরি যাওয়া ৩টিসহ মোট ৫টি মনিটর, ৪টি সিপিইউ, ১টি ট্যাব, ১টি গ্যাস সিলিন্ডার এবং নগদ ২৩ হাজার ৯৫০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী যিথি বেগম বাদী হয়ে সাগর (৩৫) মুসাসহ (৩৭) অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটর সাগরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ দুপুরের পরে উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজীব মন্ডল জানান, চুরির ঘটনার ১৪ ঘন্টার মধ্যে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখে চুরি যাওয়া মালামালসহ মূলহোতা হাসপাতালের নৌশ প্রহরীর পুত্র সাগরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সাগরকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের মাধ্যমে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।