দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের শরণখোলায় মঙ্গলবার (২জানুয়ারি) বিকেলে শেষ নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেছেন, গত ১৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়ন কেরেছেন তা বিগত কোনো সরকার করতে পারেনি। শুধুমাত্র পদ্মা সেতু করার কারণে দক্ষিণ-পশ্চি অঞ্চলের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে শেখ হাসিনার কাছে আমরা ঋণী। সেই ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যেকটি জনগণের নৌকায় ভোট দিতে হবে। শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং সেই ঋণ শোধ করার দিন হচ্ছে ৭ জনুয়ারি।
জনগণের উদ্দেশে নৌকার প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, নির্বাচনকে নিয়ে আজকে যারা বিভ্রান্তিমূলক কতা বলছে, মিথ্যাচার করছে সেই বিএনপি-জামায়াত ২০০১সালের পরে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের জনপদে পরিনত করেছিল। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ছিল। একসাথে ৬৩টি জেলায় বোমা হামলা করেছিল। তারেক জিয়ার নির্দেশে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হমালা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের আমলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারা এবার নির্বাচনে না এসে ভোট বর্জণের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা জানে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সেকরাণেই ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে তারা।
বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী বদিউজ্জামান সোহাগ তার বক্তৃতায় আরো বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতি করে আজ এই পর্যায় এসেছি। দলের মনোনয়ন বোর্ড অনেক বিচার বিশ্লেসন করে আমাকে নৌকার প্রার্থী করে পাঠিয়েছে। আমি পরিবার বা ব্যক্তি পরিচয়ে এখানে আসিনি। আমি এসেছি দলের পরিচয়ে। আমি জানি শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জে আওয়ামীলীগ অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই এলাকার উন্নয়নের সার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার মুখ উজ্জল করতে হবে।
নির্বাচনী পথসভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বলেন, আমিও এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বদিউজ্জামান সোহাগকে যোগ মনে করে তার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার আগে সোহাগ আমার প্রতিদ্ব›িদ্ব থাকলেও এখন কিন্তু আমি নৌকার কর্মী। সে কারণে আমি তার মঞ্চে দাঁড়িয়ে তার পক্ষে ভোট চাইছি। এটাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সৌন্দর্য। এটাই আমার দলের শিষ্টাচার।
জনতার উদ্দেশে সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন আরো বলেন, আপনার সবাই সেন্টারে যাবেন। নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা। শেখ হাসিনার নৌকা। আপনারা ৭তারিখ প্রমান করে দেবেন জামায়াত-বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তাতে ভোটার কমে না। মানুষ নৌকায় ভোট দেয়। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ রইল আপনারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বদিউজ্জামান সোহাগকে বিপূল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।
শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি শাহজাহান বাদল জমাদ্দারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ রুমি সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নৌকার শেষ নির্বাচনী পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আকবর, নির্বাহী সদস্য এম সাইফুল ইসলাম খোকন,শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চঞ্চল কর্মকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা এম এ রশিদ আকন, মেজবাহ উদ্দিন খোকন, হাসানুজ্জামান পারভেজ, জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, ইমরান হোসেন রাজিব, আজমিন নাহার, রিনা আক্তার সাগর, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের ছাত্রী ও নারী বিষয়ক সম্পাদক নওশীন শর্মিলী, বাদশা আলমগীর আলম, ছাত্রলীগ নেতা মাওন হোসেন, সাইফুল ইসলাম জীবন প্রমূখ।