বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষে ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিজানুর রহমান মোল্যা ওরফে সোনা মিয়া নামের রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজির হলে সোমবার জামিন নামঞ্জুর করে আদালত।
জানা যায়, সালথা উপজেলার যদুনন্দী গ্রামের নান্নু ফকির (৬৫) হত্যা মামলার বাদি নিহতের ছেলে মো. মাফুজ ফকিরের দায়ের করা মামলায় ৪ নম্বর আসামি মো. মিজানুর রহমান মোল্যা সোনা মিয়া। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।
সোনা মিয়া উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন শেষে নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আদালতে গত ২০জুন ফরিদপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে যান। এ সময় ওই মামলার অপর ৫ জন আসামিও হাজিরা দিতে গেলে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোনা মিয়াসহ ৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করে।
অপর তিনজন আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান সোনা মিয়ার ভাই মোরাদ মোল্যা ওরূপাপাত গ্রামের সানোয়ার মোল্যা এবং মো. সাদী। আদালত এ সময় অস্থায়ী জামিন দেয় কদমী গ্রামের মারুফ মিয়া ও মিলু মোল্যা।
প্রসঙ্গত, উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের রূপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নিয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি সালথার যদুনন্দি গ্রামের কাইয়ুম মোল্যা ও বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্যা ওরফে সোনা মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত ২৭ এপ্রিল বোয়ালমারীও সালথা উপজেলার সীমান্তে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নান্নু ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. মাফুজ ফকির সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রূপাপাত ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মোল্যা ওরফে সোনা মিয়াকে আসামি করা হয়।