যশোরের মনিরামপুরে বেকারির মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বেধে মারপিট করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ব্যবসার নগদ ৪ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা কোদলাপাড়া গ্রামে মশিয়ার রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মশিয়ার রহমান দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে বাড়ি ফিরে কোদলাপাড়া মোড়ে ‘মেঘনা বেকারি’ নামে একটি রুটি বিস্কুটের কারখানা পরিচালনা করছেন। কারখানার পাশে প্রাচীর ঘেরা তার একতলা ছাদের বাড়িতি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাতরা আলামত নষ্ট করে সিসি ক্যামেরা নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
মশিয়ার রহমান বলেন, ‘দুদিনের ব্যবসার ৪ লাখ টাকা নিয়ে ঘরে রেখেছিলাম। বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাড়ির প্রাচীর টপকে ১২-১৩ জন ডাকাত গ্রিলের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা হাফপ্যান্ট ও মুখোশ পরিহিত ছিল। তাদের হাতে লোহার রড ছিল।’
বাড়ির মালিক বলেন, ‘ডাকাতরা ঘরে ঢুকে আমাদের সবাইকে বেধে ৩টি ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আমার হাত ও চোখ বেধে মারপিট করেছে। তারা ৪০ মিনিট তাণ্ডব চালিয়ে ৪ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছে। যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার মনিটর ভেঙে ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেছে।’
স্থানীয় কোদলাপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশে খবর দিয়েছি। কিছুক্ষণ পর থানার ওসিসহ খেদাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে।’
এদিকে, গোপন সূত্রে ডাকাতির প্রস্তুতির বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে রোহিতা ইউনিয়নে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল বলে জানা গেছে।
রোহিতা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, ‘গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে শুক্রবার রাতে জলকর রোহিতায় ডাকাতরা অবস্থান করছে। এরপর থানা পুলিশ নিয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। সবার সরব উপস্থিতির কারণে এ এলাকায় ডাকাতরা সুবিধা করতে পারেনি। পরে তারা কোদলাপাড়া ওয়ার্ডে এক বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়েছে।’
খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সমেন বিশ্বাস বলেন, ‘রাতে আমরা ভাণ্ডারী মোড়ে টহলে ছিলাম। ও সময় ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’