ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ভিডব্লিউবি (শিশু কার্ড) কার্ডের জন্য নগদ অর্থ ও রেশন কার্ডে চাল কম দেওয়ার বিরোধিতা করায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে এক ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য সৈয়দ বালা মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্তু চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পিতা মজিবর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নে। তবে ইউপি চেয়ারম্যান আ. মান্নান মাতুব্বর এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ইউপি সদস্যদের সাথে চেয়ারম্যানের জরুরি মতবিনিময় সভা হয়। উক্ত মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল রিলিফের ভিডব্লিউবি কার্ড ও রেশনের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে। মিটিংয়ের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আ. মান্নান মাতুব্বরের ভাই সিদ্দিক মাতুব্বর, ভাতিজা শাহিন মাতুব্বর ও শিমুল মাতুব্বর এবং চেয়ারম্যানের ছেলে মাসুদ মাতুব্বর তার বাবার নিকট প্রস্তাব করেন প্রতিটি ভিডব্লিউবি (শিশু, দুই বছর মেয়াদী ৩০ কেজি করে চাল পাবে সুবিধাভোগীরা) কার্ডের জন্য কার্ডধারীদের নিকট থেকে ২ হাজার টাকা নেওয়ার এবং রেশন কার্ডধারীদের ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৭ কেজি চাল দেওয়ার।
এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করায় ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ বালা মিয়ার সাথে বাকবিতান্ডয় জড়ান সিদ্দিক মাতুব্বর, শাহিন মাতুব্বর, শিমুল মাতুব্বর ও মাসুদ মাতুব্বর। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের ভাই ও ছেলেরা লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন ইউপি সদস্যকে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য সৈয়দ বালা মিয়ার বাবা মজিবর রহমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ভাই সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মিটিংয়ে লোক পাঠানোর ব্যাপারে বালা মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এ সময় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলায় তাকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আক্রমণ করেন। আমি তাকে আরো মারপিট থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।’
পরমেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান আ. মান্নান মাতুব্বর বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমি উপকারভোগীদের কখনো চাল ওজনে কম দেই না কিংবা কার্ড দিয়ে অর্থ দাবি করি না। মেম্বাররা ও সচিবই এগুলো বন্টন করেন।’
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ছুটিতে থাকায় থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার) আক্কাস আলী শেখ বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’