বাগেরহটের শরণখোলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। দক্ষিণাঞ্চলের প্রসিদ্ধ উপজেলার আমড়াগাছিয়া পশুর হাটে এসেছে দেশি-বিদেশি নানা জাতের কয়েক হাজার গরু। ছাগলও উঠেছে প্রচুর। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় পশুর দাম একটু বেশি। তা হলেও ক্রেতাদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছাসের কমতি নেই। বেশি দামের কারণে বেচা-বিক্রি তুলনামূলক কম হওয়ায় আনন্দ নেই ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের মনে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেলে আমড়াগাছিয়া হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি গরু বাধা। দামদর করছেন ক্রেতারা। দামে বনিবনা হলে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে বিদেশি জাতের বড় গরুর চাহিদা কম। দেশি জাতের গৃহস্থরে পালিত গরুর দিকেই ক্রেতার নজর বেশি।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, তার নিজের ফার্মে পালিত অস্ট্রেলিয়ান ফিজিয়ান জাতের চারটি গরু উঠিয়েছেন হাটে। সবচেয়ে বড়টির ওজন ১৩ মণ। এটির দাম হেঁকেছেন ৫লাখ টাকা। বাকি তিনটিও আড়াই লাখ, তিন লাখ করে। কিন্তু একটিও বিক্রি হয়নি। একেকটি গরুর পেছনে লালন-পালনে দুই বছরে তার দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে খচর হয়েছে। এবার বিক্রি করতে না পারলে আগামী বছর খরচের মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ হবে।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, খাবারের দাম বেশি। তাই গরুর দামও একটু বেশি এবার। ক্রেতাও আছে। তবে বিক্রি অনেক কম। কেনার চেয়ে দামাদামি করেই সময় পার করছেন বেশি ক্রেতারা।
উপজেলার রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেলিম হাওলাদার জানান, তিনি প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা ঘুরে ৯৯ হাজার টাকায় দেশি জাতের একটি গরু কিনেছেন। রাজৈর গ্রামের রতন তালুকদার জানান, তিনি ৫২ হাজার টাকায় স্থানীয় গৃহস্থের পালিত গরু কিনেছেন। এভাবে অধিকাংশ ক্রেতারই দেশি গরুর প্রতি ঝোক দেখা গেছে।
হাটের ইজারাদার মো. শামীম মুন্সি জানান, সকাল ৭টা থেকেই হাট বসেছে। হাটে প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি গরু-ছাগল উঠেছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম। সকাল থেকে এ পর্যন্ত (বিকেল সাড়ে ৪টা) মাত্র তিন শর মতো গরু বিক্রি হয়েছে। বিদেশি বড় গরু তেমন বিক্রি হয়নি। কোরবারিকে লক্ষ্য করেই চড়া মূল্যে হাটের ইজারা নেওয়া হয়। কিন্তু বিক্রি কম হওয়ায় সবাই হতাশ।