সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ২৬টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এখন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগর মৃৎশিল্পীরা। প্রতিটি মন্ডপের সাজসজ্জাসহ সাড়ম্বরে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটি।
আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৪ টি ও তালতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১২টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এখন প্রতিমার রংতুলি ও মন্ডপে মন্ডপে সাজসজ্জাসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রয়েছেন আয়োজকরা।
পূজা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমতলী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড. হরিহর চন্দ্র দাস । প্রতিটি পূজা মন্ডপ নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
দশভূজা দেবী এবার আসছেন ঘোড়ায় চড়ে, আর ফিরে যাবেন নৌকায়। তাই এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আমতলী ও তালতলী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সর্বত্রই চলছে সাজ সাজ রব।
তালতলী উপজেলা শারদীয় দূর্গা মন্দিরের সভাপতি অ্যাড. জগদিশ চন্দ্র শীল বলেন, এ বছর তালতলী উপজেলার ১২টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মণ্ডপ গুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, পূজা উপলক্ষে আমতলীর মন্ডপগুলো কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে। প্রতিটি মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বী অনুসারীরাসহ সকলে শান্তিপূর্ণভাবে পূজার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে।
আমতলী ও তালতলী উপজেলার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সাদিক তানভীর বলেন, সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রতিটি পূজা মন্ডপে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাৎসব ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জন মধ্য দিয়ে পূজা সমাপ্তি হবে।