বরগুনার আমতলীতে প্রবাসীর স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৮ দিনেও স্কুল ছাত্রীর কোন সন্ধান না পেয়ে অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রোববার (০৩ জুলাই) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আনিসুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আমাতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে রুহুল আমীন মুন্সীর পুত্র মিরাজ মুন্সী (২০), সদর উপজেলার পুরাকাটা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের পুত্র শহিদুল সিকদার (৩৫) ও মিরাজ মুন্সীর মা রুনা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদীর স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি দুটি সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ীতে বসবাস করেন। তার কন্যা আমতলী দক্ষিণ রাওঘা নুর আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। আসামি মিরাজ মুন্সী স্কুলে যাওয়া আসার পথে বাদীর কন্যাকে উত্যক্ত করে আসছে। নাবালিকা মেয়ে তার মায়ের কাছে সব বলে দেয়। এতে মিরাজ মুন্সী প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন সকাল অনুমানিক ৯টার দিকে বাদীর কন্যা বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে যাওয়ার পথে পথিমধ্যে রাওঘা ইটের সলিং রাস্তায় পৌঁছলে আসামি মিরাজ মুন্সী স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে মূল অভিযুক্ত মিরাজ মুন্সীর দুলাভাই সহিদুল সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যাবার সময় সাক্ষী সোহেল দেখতে পায়।
বাদী ভিকটিমের মা বলেন, সোহেল আমাকে জানায় আসামিরা আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মিরাজ মুন্সীর মা রুনা বেগমের কাছে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তারা আমার অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আসামি মিরাজ মুন্সী আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। অথবা অপহরণের পর ধর্ষণ করে বিদেশে পাচার করতে পারে। আবার এমনও হতে পারে আমার মেয়েকে সকল আসামিরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে পারে। আমরা ৮ দিন খুঁজে মেয়েকে পাইনি। আসামিদের কাছেই আমার মেয়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৯ জুন আমতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয় থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম।